আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রক্তমাখা গ্লাভস বিতর্কে নয়া মোড়। বিতর্কিত গ্লাভসের দাগ রক্তের নয় বলেই জানালেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার হাসপাতালের সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় জানান, গ্লাভসের লাল দাগ রক্তের নয়। বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ল্যাবে হওয়া পরীক্ষায় এই প্রমাণ মিলেছে বলে জানান তিনি। তবে ওটা আসলে কীসের দাগ? তা জানতে ইতিমিধ্যেই গ্লাভসগুলি পাঠানো হচ্ছে ফরেন্সিক ল্যাবে।
অনশন চলাকালীন গত ১০ অক্টোবর এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আনেন আরজিকরের ইন্টার্ন ডাক্তার দেবারুণ সরকার। প্রসঙ্গটি নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময়ও তুলে ধরেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা।
জানা গেছে, যে বাক্সে গ্লাভস এসেছিল তার ব্যাচ নম্বরের সঙ্গে প্যাকেটের নম্বরের মিল নেই। তাহলে এই গ্লাভস হাসপাতালে এল কীভাবে? কীভাবেই বা পৌঁছে গেল অপারেশন থিয়েটার পর্যন্ত? এই প্রশনই বার-বার উঠে আসছে তদন্তে।
অভিযোগকারী দেবারুণ সরকার দাবি করেন, জরুরি বিভাগে এইচআইভি আক্রান্ত এক রোগীকে পরীক্ষা করছিলেন। সিল করা প্যাকেট খুলতেই, তা থেকে লাল দাগ লাগা গ্লাভস বের হয়। চিকিৎসকের দেখেই সন্দেহ হয় এই দাগ রক্তের। বিষয়টি সামনে আনেন তিনি। সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে বিষয়টি জানানো হয়। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা আর জি কর হাসপাতালে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।
বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা সরব হন। অভিযোগ করেন নার্সরাও। জাস্টিস আন্দোলনের অন্যতম মুখ ডা. আসফাকুল্লা নাইয়ার মন্তব্য, ‘স্টেরাইল গ্লাভস না দিয়ে ইউজড গ্লাভস দেওয়া এটার মানে কী? এটার মানে একটা গ্লাভস রিপিটেডলি ইউজ করলে পরের বার গ্লাভসের টাকাটা যে বেঁচে যায়, সেই টাকাটা কোনও বাবুদের পকেটে যায়।’
চাঞ্চল্যকর দাবি করেন নার্সরাও। বলেন, ইদানিং নাকি হাসপাতালে অনেক ব্যবহৃত সিরিঞ্জও আসছে। অন্যদিকে, চলতি সপ্তাহের সোমবার সামনে আসে এসএসকেএম হাসপাতালে ‘কাঁচি কেলেঙ্কারি’। হাসপাতালে প্রসূতির অস্ত্রপচারের সময় মরচে ধরা কাঁচি ভেঙে যাওয়ার অভিযোগ করেন এক জুনিয়র ডাক্তার। এসএসকেএম হাসপাতালে কাঁচি কেলেঙ্কারি সামনে আসতেই সরব হন জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের সদস্যরা। জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।