মহামারীর আবহে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে ক্রমাগত ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার বাড়-বাড়ন্ত। কিন্তু এবার সেই দুশ্চিন্তাকেই কয়েক গুণ বৃদ্ধি করলো খাস কলকাতা থেকে সংগৃহীত জলের নমুনা। জলের নমুনায় এবার হদিস মিললো দক্ষিণ আফ্রিকায় ত্রাস সৃষ্টিকারী এক মশার। ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার সাথে সাথেই আরও বড়ো বিপদবার্তার সংকেত দিলেন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা। আফ্রিকায় ভয়ঙ্কর পীতজ্বরের নেপথ্যেও রয়েছে এডিস ভিট্টাটা (Adis Vittatae) নামের ওই মশায়। সেই মশার সন্ধান এবার কলকাতায় যা প্রশাসনের কাছে যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/09/CDC-Gathany-Aedes-albopictus-1-1-1024x678.jpg)
ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার বৃদ্ধির ফলে কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। পুরসভার ল্যাবে সেই নমুনা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। আর সেখানেই বিপদের আঁচ দেখলেন বিজ্ঞানীরা। মাইক্রোস্কোপে ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, মশার গলার নিচে ৬টি রুপোলি দাগ। এই মশায় আসলে দক্ষিণ আফ্রিকার সেই ত্রাস ছড়ানো এডিস ভিট্টাটা। এই মশাকে প্রথম চিহ্নিত করেন ড. দেবাশিস বিশ্বাস। তিনিই এই মশার বর্ণনা দেন। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর অর্থাৎ সারাবছর ধরেই বংশবিস্তার করতে সক্ষম এই মশা। পাথরের গর্তে জমা জলে থাকাই এদের প্রিয়। প্রায় সাড়ে চারমাস পর্যন্ত ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বাঁচতে পারে এই মশা। এডিস ভিট্টাটা পীতজ্বর, ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, জিকা-সহ একাধিক প্রাণঘাতী ভাইরাসের বাহক। পতঙ্গবিদ ড. দেবাশিস বিশ্বাস বলেন,”এশিয়ার যে জলবায়ু, তা এদের পক্ষে ভাল। গর্তে জমে থাকা জলেই এরা থাকে মূলত। কলকাতা তথা রাজ্যে এই প্রথম এ ধরনের মশা খুঁজে পেলাম। গবেষণা চলছে।” মানুষের রক্ত বড়ই প্রিয় এডিস ভিট্টাটার যা আশঙ্কার অন্যতম কারণ।