বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্লিনিকাল কেয়ারের প্রধান জ্যানেট ডিয়াজ জানিয়েছেন, প্রায় ৬৮ শতাংশ কোভিড রোগী কর্টিকোস্টেরয়েডের থেরাপিতে সুস্থ হয়েছেন। কর্টিকোস্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের প্রয়োগে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে ২০ শতাংশ । ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের অবস্থা সঙ্কটজনক যারা ভেন্টিলেটরের সাপোর্টে রয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রেই বিশেষ করে এই স্টেরয়েডের প্রয়োগ করা প্রয়োজন । তিন রকম কর্টিকোস্টেরয়েডের আলাদা আলাদা ট্রায়াল করে দেখা হয়েছে। ভেন্টিলেটরে থাকা সঙ্কটাপন্ন কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় হাইড্রোকর্টিসোন, ডেক্সামিথাসোন ও মিথাইলপ্রেডনিসোলোন এই তিন ধরনের ওষুধের থেরাপিতে করোনা সংক্রমণ কমেছে ।

কর্টিকোস্টেরয়েড ডেক্সামিথাসোনকে ‘জীবনদায়ী’ ওষুধ বলেছিলেন বিজ্ঞানীরা পাশাপাশি এই ওষুধের ভুল প্রয়োগে বিপদ আরও বাড়তে পারে বলে সতর্কও করেছিলেন । যে কোনও বয়সের রোগীর উপরেই এই ওষুধের ব্যবহার করা যাবে । এই ধরনের ওষুধের দাম এবং থেরাপির খরচও কম হওয়ায় সার্বিক ব্যবহারে সুবিধা হবে । তাই, বলা যায় করোনার দাপট কমতে পারে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধেই । বিশ্বের সাতটি দেশে রিকভারি ট্রায়াল করে এমনটাই জানিয়েছেন বিজ্ঞানিরা ।
