“মানুষ মানুষের জন্যই”এই কথাকে আরও একবার সত্য প্রমাণিত করলেন সোনারপুরের বাসিন্দা দেবাশীষ সরকার।
এলাকায় তিনি অবশ্য পরিচিত দেবা নামেই। পেশায় টোটো চালক দেবাশীষ বর্তমানে নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মানুষের সাহায্যে। যার ফলে তিনি কার্যতই ত্রানকর্তা হয়ে উঠেছেন আপামর সোনারপুরবাসীর কাছে। করোনার সচেতনতা মূলক বার্তার পোস্টারে ঢাকা তাঁর টোটো। তার সাথে রয়েছে অক্সিমিটার, থার্মোমিটার, এমনকি স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থাও। ২৪ ঘন্টাই খোলা তাঁর ফোন। শুধু একটা ফোন,দিনের যেকোনো সময় যেকোনো অবস্থাতেই রোগীর কাছে পৌঁছে যাবেন দেবাশীষ। বর্তমানে তাঁর টোটোতে করে মুমূর্ষ রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। কেউ টাকা দিতে পারছেন,কেউ আবার সেটাও পারছেন না। কিন্তু তাতে মোটেই দমে যাবার পাত্র দেবাশীষ নন।
টাকাপয়সার ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন তিনি। এই মুহূর্তে বেশিরভাগ মানুষই যখন সংক্রমনের ভয়ে পিছিয়ে আসছেন, তখন সবার আগে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দেবাশীষবাবুর কথায় ” বর্তমান সময়ে এই করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে পড়ছে। অসুস্থ হওয়ার পর সঠিক সময়েও অনেকে অ্যাম্বুলেন্স পাচ্ছেন না। আবার অসুস্থ অবস্থায় যদি ৪-৫ ঘণ্টা বাড়িতেই পড়ে থাকেন কেউ, তাহলে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে আমি নিজে থেকেই এগিয়ে আসার কথা ভাবলাম। আমার ফোন নাম্বার সর্বত্রই আমি ছড়িয়ে দিয়েছি”। দেশজুড়ে দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ছে করোনা সংক্রমন। রেহাই মিলছেনা বৃদ্ধ থেকে শিশু কারোরই। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেবাশীষের এই ‘টোটো অ্যাম্বুলেন্স’ আক্ষরিক অর্থেই প্রাণদান করছে অজস্র মানুষকে।