পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে হিংসায় ছিন্নভিন্ন হয়েছে ভাঙড়। সেই ভাঙড়েই গিয়ে পৌঁছলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গতকালই রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে কড়া বিবৃতি প্রকাশ করেছিল রাজভবন। জানা গিয়েছিল, নিজের পূর্ব নির্ধারিত সব কর্মসূচি বাতিল করে ভাঙড়ে যাবেন রাজ্যপাল। সেই মতো বেলা গড়াতেই হিংসা কবলিত এলাকায় গিয়ে পা রাখলেন সিভি আনন্দ বোস। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যপাল। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হিংসার বিবরণ শোনেন তিনি।
প্রথমেই ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে যান রাজ্যপাল। এই এলাকাতেই মনোনয়ন ঘিরে তুমুল অশান্তি ছড়িয়েছিল। গতকাল দুই আইএসএফ কর্মী খুন হন এখানে। সেই বিজয়গঞ্জ বাজারে পৌঁছে এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পুলিশ কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায় রাজ্যপালকে।
ভাঙড় কলেজে আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আইএসএফ কর্মীরা। রাজ্যপালকে অভিযোগ জানাতে কলেজের বাইরে জমায়েত করেছিলেন তাঁরা। খবর পাওয়ার পরই আইএসএফের দুই কর্মীকে বৈঠকে ডাকেন রাজ্যপাল। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। ওই কর্মীরা বলেন, “সমস্ত অভিযোগ জানিয়েছি রাজ্যপালকে। তিনি সব শুনেছেন।” পাশাপাশি ভাঙড় কলেজে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
এদিন রাজ্যপাল বলেন, “কয়েকটি এলাকায় দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। তথ্য সংগ্রহ করেছি। যা দেখেছি, যা শুনেছি, তা খতিয়ে দেখব। বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে বাংলার মানুষের। গণতন্ত্রের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। সাংবিধানিক ভাবে হিংসাকে নির্মূল করতে হবে। হিংসা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।”