পাহাড়ের রাজনীতির অন্যতম বিষয় গোর্খাল্যান্ড। সেই গোর্খাল্যান্ড নিয়ে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির জনসভায় গিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, ‘বিমল গুরুংকে ওরা ৬ বছর ধরে বলে এসেছে গোর্খাল্যান্ড দিয়ে দেব। যেই ভোট আসে একটা করে গোর্খাল্যান্ড দেয়।’ এরপরই জনতার কাছে মমতার প্রশ্ন, ‘এ পর্যন্ত কটা গোর্খাল্যান্ড হয়েছে?’ ‘২০১৪–য় বিজেপি গোর্খাল্যান্ডের কথা বলেছে আর একটা আসন জিতেছে। ২০১৮–য় বলেছে আর একটা আসন জিতেছে। আমরা কিন্তু জিতিনি। কারণ আমরা গোর্খাল্যান্ডের কথা কখনও বলিনি। তাতে আমরা কিছু যায় আসে না।’ একইসঙ্গে এদিন মমতা দাবি করেন, ‘দার্জিলিংয়ের সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করতে পারলে শুধু আমরাই করতে পারব।’

শুধু তাই নয়, এদিন অভিমানের সুরে মমতা বলেন, সব কাজ করে দেওয়ার পরও লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে একটাও আসন পায়নি তৃণমূল। কী অপরাধ ছিল আমাদের? কী অন্যায় করেছিলাম আমরা?এদিনের জনসভায় এভাবেই সাধারণ মানুষের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন দলনেত্রী। সেইসঙ্গে বিধানসভায় আপনাদের আশীর্বাদ, দোয়া চেয়ে নেন তিনি।
২০১৯–এর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে উত্তরবঙ্গে বেশ জাঁকিয়ে বসেছে গেরুয়া শিবির। আবার গোদের ওপর বিষফোড়ার মতো রাজ্যে সক্রিয় হচ্ছে সংখ্যালঘু সংগঠন অল ইন্ডিয়া মজলিস–এ–ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম)। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই বাংলায় আসছেন মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি। এদিন সেই মিম–কেই আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের ভোট ভাগ করবার জন্য আবার হায়দরাবাদ থেকে একটা পার্টিকে ধরে এনেছে। বিজেপি টাকা দেয় আর বিজেপি–র টাকায় ওরা এটা করে। বিজেপি হিন্দুদের ভোট নেবে, ও মুসলিমের ভোট নেবে। আমি কি কাঁচাকলা খাব?’ দলের প্রতি মমতার বার্তা, ‘এটা একটা রাজনীতি। এই রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’