হুগলির দাউদ ইব্রাহিম খ্যাত হুব্বা শ্যামল। আটের দশকে অপরাধ জগতে ধীরে ধীরে উত্থান ঘটে হুব্বার। সেই সময় কলকাতার নিকটবর্তী মফঃস্বল কোন্নগর ও রিষড়ায় গঙ্গার ধার বরাবর ও এক্সপ্রেসওয়ের দিকে একাধিক কারখানা ছিল। সেখানকার শ্রমিকদের থেকেই হপ্তা তুলে অপরাধ জগতে হাতেখড়ি শ্যামলের।নয়ের দশকে তার ক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ধীরে ধীরে এলাকায় ঘটতে শুরু করে তোলাবাজি, ডাকাতি, খুনের মতো একাধিক অপরাধমূলক ঘটনা। অন্ধকার জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী সেই হুব্বা শ্যামলের কাহিনীই এবার পর্দায় তুলে আনছেন পরিচালক ব্রাত্য বসু। প্রকাশ্যে এল ‘হুব্বা’ র টিজার।
টিজারের প্রথম ঝলকেই চমকে দিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা মোশারফ করিম। এর আগে ব্রাত্য বসুর পরিচালনায় ‘ডিকশনারি’ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ফের বড়পর্দায় ফিরছে সেই জুটি। আগেই ব্রাত্য বসু ঘোষণা করেছিলেন যে ‘হুব্বা’ ছবিতে নাম চরিত্রে দেখা যাবে মোশারফ করিমকে। এবার ৩৯ সেকেন্ডের টিজারে হুব্বা শ্যামলের চরিত্রে কখনো ভয়ানক গ্যাংস্টার রূপে পাড়ায় দাপিয়ে বেড়াতে দেখা গেল তাকে, কখনও আবার দেখা গেল রাতের অন্ধকারে নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটাতে, কখনও আবার বিয়ের সাজে নাচছে সে। ব্রাত্য বসুর পরিচালনায় এবার বাংলায় গ্যাংস্টার ঘরানার নয়া ছবি ‘হুব্বা’। আগামী নভেম্বরে মুক্তি পাওয়ার কথা ‘হুব্বা’-র।
শোনা যায় যে তৎকালীন শাসকদলেরও ঘনিষ্ঠ ছিল হুব্বা শ্যামল। ২০০৫ সালে একটি খুনের ঘটনায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নির্দেশে তাকে গ্রেফতার করে পুলিস। যদিও কয়েকমাসের মধ্যেই সে জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। এরপরেই ধীরে ধীরে কমতে থাকে তার আধিপত্য। ২০১১ সালে বামফ্রন্ট সরকার পতনের কিছুদিন পরেই বৈদ্যবাটি খালে হাওড়া-বর্ধমান মেইন শাখার ৯ নম্বর রেলগেটের কাছে পাওয়া যায় তার মৃতদেহ।