বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ‘রক্ষাকবচ’ দেওয়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে নিশানা করলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার অভিষেক সরাসরি অভিযোগ করেন, “বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সমাজবিরোধীদের রক্ষাকবচ দিচ্ছেন।” অভিষেক এ-ও বলেন, যদি এই বক্তব্যের জন্য তাঁকে আদালত অবমাননার দায়ে জেলে যেতে হয়, তা হলে তিনি ১০ হাজার বার জেলে যেতেও রাজি!
অভিষেকের ওই মন্তব্য সম্পর্কে নয়াদিল্লিতে প্রশ্ন করা হয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। তিনি শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহরে সঙ্গে দেখা করে বাংলার পঞ্চায়েত ভোট এবং তৎপরবর্তী পরিস্থিতির কথা জানান। অভিষেকের বক্তব্য শুনে সুকান্ত বলেন, “শিয়রে বিপদ! তাই উনি এখন বিচারব্যবস্থাকে আক্রমণ করছেন।”
ভোট সন্ত্রাসে নন্দীগ্রামের ১১ জন জখম তৃণমূলকর্মী এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার তাঁদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন অভিষেক। তার পর হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়েই বিচারব্যবস্থার একাংশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। আহত তৃণমূল কর্মীদের দেখে বেরিয়ে অভিষেক বলেন, “কারা এই হামলায় যুক্ত, আমি তাদের নাম নোট করেছি। এই তালিকা আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেব।”
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ‘বিচারব্যবস্থার একাংশ’ বলে আক্রমণ শানালেও পরে সরাসরি বিচারপতি মান্থার নাম করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “এই একজন বিচারপতি শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দিয়ে রেখেছেন। ভবিষ্যতে তিনি কোনও অপকর্ম করলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যাবে না! এফআইআর করা যাবে না!” একইসঙ্গে বিচারপতির উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে অভিষেক বলেন, “আমি যদি প্রোটেকশন চাইতে যাই, আমায় দেবেন? খালি শুভেন্দু অধিকারীর ছত্রছায়ায় থাকা নেতাদের প্রোটেকশন দেওয়া হচ্ছে।”