৭ ফেব্রুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে তার আগের দিন অর্থাৎ ৬ ই ফেব্রুয়ারি ওই জেলার কাঁথিতে সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই জোরকদমে চলছে সভাস্থলের প্রস্তুতি। সমস্ত প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, 2015 সালে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে জনসভা করতে এসে মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় প্রকাশ্যে চড় খেতে হয়েছিল ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে। মঞ্চে বক্তব্য সবে শুরু করেছিলেন অভিষেক। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকাই মঞ্চে উঠে এক যুবক পরপর তিনটি চড় মারে তাঁকে। এরপরই সভাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যান অভিষেক। সেই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেকারণে আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৬ ফেব্রুয়ারি অধিকারী গড় নামে পরিচিত কাঁথির দই সাইতে সভা করতে যাবেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সভার প্রস্তুতির কাজ খতিয়ে দেখলেন ও মাঠ পরিদর্শন করলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি ও জেলার প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন। এদিন জেলা যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, ইতিমধ্যেই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে সভাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তায় আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। তাঁর দাবি, লক্ষাধিক মানুষ ওই জনসভায় উপস্থিত থাকবেন।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক সমীকরণ দিন দিন পাল্টে যাচ্ছে। শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই জেলা তৃণমূলের একটা বড় অংশ বিজেপিতে চলে গেছে। গেরুয়া শিবিরের মতে, ভোট যত এগোবে আরও বাড়বে তৃণমূলের রক্তক্ষরণ। অন্যদিকে, শুভেন্দুও নিজের মত করে রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপির সংগঠন মজবুত করছেন। ঘাসফুলের রক্তক্ষরণ কমাতে অভিষেক সেই অধিকারী গড়ে যাচ্ছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।