কেন্দ্রের তৈরি কৃষি বিলের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট , কিন্তু পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে নিরপেক্ষ কমিটি। যদিও ইতিমধ্যেই এই কমিটির একজন সদস্য ভূপিন্দর সিং মান ইস্তফা দিয়েছেন নিজের পথ থেকে। নিজের নাম প্রত্যাহার করার পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ তাঁকে এই কমিটির সদস্য বানানোর জন্য । কিন্তু পাঞ্জাবের স্বার্থে এই পদ থেকে সরে যেতেও তিনি রাজি। যদিও কৃষকদের তরফ থেকে তীব্র প্রতিবাদ করে বলা হয়েছে, যাদেরকে নিয়ে কমিটি তৈরি করা হয়েছে তারা কেউই নিরপেক্ষ নয় প্রত্যেকে কৃষি বিল এর সমর্থক।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/01/1600x960_387280-bhupinder-singh-maan-ashok-gulati-pramod-kumar-joshi-anil-ghanwat-1024x614.jpg)
অন্যদিকে শীর্ষ আদালতের তৈরি এই চারজনের নিরপেক্ষ কমিটির মধ্যে কৃষক ইউনিয়নের ভূপেন্দ্র সিং মান এবং শেটকারি সংগঠনের অনিল ঘনওয়াত উভয়ই পূর্বেই কেন্দ্রের কাছে গিয়ে কৃষি বিলের পক্ষে নিজেদের সমর্থন জানিয়ে এসেছিলেন । পাশাপাশি বাকি দুজনও বারবার কৃষি আইনের পক্ষে সরব হয়েছেন, লিখেছেন নানা পত্রিকাতে। তাই এই রূপ নিরপেক্ষ কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করছেন কৃষকরা।
ইতিমধ্যেই কৃষি আইন কে ঘিরে আন্দোলনের সময়সীমা পার করেছে ৪৮ এর গণ্ডি। এছাড়া আট থেকে আশি প্রত্যেকেই এই আন্দোলনে সরব হয়েছেন। পূর্বের ঘোষণা মত ট্রাক্টর মার্চ করা হয়েছিল। হাজার হাজার ট্রাক্টর রাজধানীর দিকে এগিয়ে এসেছিলেন নানান সীমান্ত থেকে। ২৬ শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনেও আরো বড় ট্রাক্টর মার্চের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলির তরফ থেকে ।যদিও কেন্দ্র সুপ্রিমকোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছে এই মার্চ রুখে দেওয়ার জন্য। না হলে তা দেশের সংস্কৃতির জন্য ভীষণ লজ্জাজনক হবে বলে মনে করছে কেন্দ্র।