বিশ্ব ভারতীতে উপাচার্যের ঘরের দরজা ভেঙে রাতভোর বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়ারা। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্য়ালয়ে অনৈতিক কাজকর্ম চলছে যার সঙ্গে যুক্ত খোদ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করতে গেলেই পড়ুয়াদের ওপর ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে, ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পুনরায় ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না পড়ুয়াদের। এমনকি বুধবার উপাচার্যের কাছে কয়েকটি দাবিদাওয়া নিয়ে যাওয়ায় তাদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেন বলে পড়ুয়াদের অভিযোগ। এই খবর চাউর হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্পাসে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। উপাচার্যকে ঘেরাও করে শুরু হয় ধুন্ধুমার বিক্ষোভ। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের হাতাহাতিতে প্রায় রণক্ষেত্র বিশ্বভারতী। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ।
উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবিতে এখনও সেন্ট্রাল অফিস ঘেরাও করে রেখেছেন ছাত্রছাত্রীরা। তারা আরও অভিযোগ করেছেন যে, কোর্টের অর্ডারে কোনও কিছুর নিষ্পত্তি হচ্ছে। তারপরই আবার নতুন কিছু বেনিয়ম শুরু করছেন উপাচার্য। পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানান,’আমাকে মা বাপ তুলে গালাগালি করা হচ্ছে। অসভ্য ব্যাবহার এবং গায়ে হাতও তোলা হয়েছে আমার। রবীন্দ্রনাথের বিশ্ববিদ্যালয়ে এই অসভ্যতা দেখে আমার দুঃখ হচ্ছে। পুলিশকে জানানো হয়েছে।‘ অন্যান্য অধ্যাপকদেরকেও উপাচার্যের ঘরে ঢুকতে দেওয়া হছে না বলে অভিযোগ। আজ সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ও উপাচার্যের বাড়ির সামনে আরও বেশি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।