কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে । মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন পৌরসভায় পুরভোটের নির্ঘন্টও নির্দিষ্ট হয়ে যাবে এই বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের শুরুতেই । তবে ২০১৬ সালে নির্বাচনের মুহূর্তে তৈরী হওয়া কংগ্রেস (Congress) ও সিপিএমের (CPIM) জোট আদৌ পুরভোটের সময়ে কার্যকরী থাকবে কিনা সেই প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে। এই পরিস্থিতিতে ‘বাম-কংগ্রেস’ জোট প্রসঙ্গে সোজাসাপ্টা বক্তব্য রাখলেন বহরমপুরের কংগ্রেসের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী ।
এক সাংবাদিক বৈঠকে হাজির হয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানান, আজ পর্যন্ত কংগ্রেসের তরফে কখনই ‘জোটভঙ্গের’ কথা বলা হয় নি। এর পাশাপাশি তিনি আরোও বলেন, পুরভোটকে কেন্দ্র করে ‘হাত’ শিবির আদৌ ‘কাস্তে-হাতুড়ি-তারা’র সঙ্গে হাত মেলাবে কিনা তা একমাত্র জেলাস্তরের কর্মীরাই সিদ্ধান্ত নেবে। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর কথায়, ২০১৬ সালে তৈরী হওয়া এই জোট প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের তরফে কখনই ‘জোটভঙ্গের’ কথা বলা হয় নি। বরং ২০১৬ সালের পরবর্তীকালে সিপিআইএমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সিপিআইএম জোট ছাড়াই আন্দোলনের পথে হাঁটতে চায়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, আবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই কংগ্রেসের হাত ধরতে উদ্যোগী হয়েছিল বামফ্রন্ট সরকার । ফলত, বামফ্রন্টের তরফে জোটের বিষয়ে সিপিআইএমের শীর্ষ নেতৃত্ব সন্দীহান থাকলেও কংগ্রেসের মতামত বরাবরই সুনিশ্চিত। বলা বাহুল্য, সব মিলিয়ে পুরভোটের দামামা বেজে উঠতেই ‘জোট’ ভাগ্য ফের জেলা কংগ্রেসের দলীয় কর্মীদের হাতেই ছেড়ে দিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।