ফের শিরোনামে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। এক তরুণীর মৃত্যুতে প্রত্যক্ষদর্শী অন্য রোগীদের দাবি, অক্সিজেনের অভাবেই মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত ওই তরুণীর। অভিযোগ,বারবার ডেকেও সাড়া মেলেনি কোনও চিকিত্সক ও নার্স সকলের চোখের সামনে দৃশ্যতই কাতরাতে কাতরাতে মারা যান ২০ বছরের সুজাতা।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, মহারানি কাশীশ্বরী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সুজাতা সাউ কাশীপুর রেলবস্তিতে থাকেন। তাঁর বাবা ছাতু বিক্রি করেন। জানা গেছে, গত মাসের ২৪ তারিখ জন্মদিন ছিল সুজাতার, ওই দিন বস্তির ঘরেই কয়েক জন কাছের বন্ধুকে ডেকে জন্মদিন পালন করে সুজাতা।
এরপরেই ২ সেপ্টেম্বর জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয় তাঁর। প্রথমে তাঁকে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, কোভিড টেস্ট করানোর পরে রিপোর্ট আসে পজিটিভ। তখনই সুজাতাকে রেফার করা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে গ্রিন বিল্ডিংয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।সুজাতার পরিবারের অভিযোগ, মেয়ের শারীরিক অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছিল। শ্বাসকষ্ট বাড়ছিল তাঁর। চিকিৎসকদের অনেক বার বললেও কোনও সুরাহা হয়নি। এমনকি ঠিকমতো খাবারও দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ পরিবারের। এই প্রথম নয়, করোনা রোগীদের অবহেলা করার একাধিক অভিযোগ আগেও উঠেছে মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে। এবার প্রশ্ন উঠেছে, এতবার মরণাপন্ন তরুণী সাহায্য চাইলেন, তবু কেন কেউ দেখলেন না তাঁকে? অক্সিজেন কেন দেওয়া হল না, কেনই বা দেওয়া হয়নি খাবার? এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ ভরসা পাবেন কী করে! ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।