ইন্দোনেশিয়া নিখোঁজ হওয়া সাবমেরিনে ধ্বংসস্তূপ উদ্ধার করা হলো। বালি সাগরে উদ্ধার করার সাবমেরিনটি আর জীবিত অবস্থায় নেই সম্পূর্ণ একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি মনে করা হচ্ছে সেগুলো সদস্যদের মধ্যে অনেকেরই প্রাণনাশের সম্ভাবনা রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে ৫৩ জন ক্রুয়ের বাঁচার আশা অনেকটাই কমে গিয়েছে। কারণ শনিবারই তাঁদের অক্সিজেন শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।ইন্দোনেশিয়ার ১ নৌপ্রধান জানিয়েছেন এই সাবমেরিনটি সর্বোচ্চ গভীরতা অব্দি যেতে পারত তার থেকেও ৮৫০ মিটার নিচে এটিকে পাওয়া গেছে। টর্পেডো ড্রিল চালানোর জন্য তৈরি হওয়া এই সাবমেরিনটি ৫০০ মিটার গভীর পর্যন্ত যেতে পারত। জানা যাচ্ছে, গত বুধবার এই সাবমেরিনটি নিখোঁজ হয়ে যায়, পরবর্তীতে ভারতের তরফ থেকে একটি ডিপ ওয়াটার রেসকিউ ভেসেল পাঠানো হয়েছিল। তার ফলে শেষ পর্যন্ত উদ্ধার পায় এই সাবমেরিনের ধ্বংসস্তূপ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিশ্বের কয়েকটি রাষ্ট্রের হাতে নিখোঁজ সাবমেরিনের খোঁজ এবং উদ্ধার করার সরঞ্জাম রয়েছে,তার মধ্যে ভারত অন্যতম।
ভারত ডিএসআরভির প্রযুক্তির সাহায্যে নিখোঁজ সাবমেরিনের খোঁজ চালায়।ভারতীয় নৌবাহিনীর ডিএসআরভি প্রযুক্তি, গভীর সমুদ্রের তলায় ১০০০ মিটার পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম।এর জন্য ভারতীয় নৌবাহিনীর সাইড স্ক্যান রিমোটলি অপারেটেড ভেহিকল এর মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। নিখোঁজ হওয়া সাবমেরিন চিহ্নিত করা গেলে তাতে আটকে পরা কর্মীদের উদ্ধারের জন্য এসআরভি বা স্বয়ংক্রিয় যান ব্যবহার করা হয়। এর মাধ্যমে সাবমেরিনে আপদকালীন সামগ্রীও সরবরাহ করা হয়। জানা যাচ্ছে,ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়,২১ এপ্রিল ইন্টারন্যাশনাল সাবমেরিন এস্কেপ এবং রেসকিউ লিয়াসিয়ন অফিসের তরফে নৌবাহিনীকে সাহায্য করার জন্য একটি বার্তা পাঠানো হয়। বিশেষত এই নৌযানটি বালি দ্বীপে ২৫মাইল উত্তরে কাজ করছিল। কাজ চলাকালীনই সেটি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে।