
বলিউডে মাদক চক্র যোগ নিয়ে অভিযোগের প্রতিবাদে গতকাল সংসদে ফেটে পড়েছিলেন জয়া বচ্চন। তা নিয়ে সংসদের ভিতরে তো বটেই, সোশ্যাল মিডিয়াতেও আক্রমণের মুখে পড়েন সমাজবাদী পার্টির ওই সাংসদ। তার জল অনেকদূর গড়াতে পারে, এই আশঙ্কায় বুধবার আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিল মুম্বই পুলিশ। বচ্চন পরিবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জুহুতে অমিতাভ বচ্চনের বাংলো ‘জলসা’র বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশকর্মী। সংসদের বাদল অধিবেশনের শুরুর দিনেই বলিউডে মাদক চক্রের অভিযোগ তুলে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন হিন্দি ভোজপুরি চলচ্চিত্রের অভিনেতা তথা বিজেপি সাংসদ রবি কিষণ।
সেই বক্তব্যের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সংসদে সরব হন জয়া বচ্চন। জয়ার অভিযোগ, দেশের বেহাল অর্থনীতি এবং বেকারত্ব থেকে নজর ঘোরাতেই বলিউডে মাদক চক্রের অভিযোগ নিয়ে বিজেপি নেতারা হইচই শুরু করেছেন।

জয়ার ওই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে বিভিন্ন দিক থেকে। জয়ার মন্তব্যের পাল্টা হিসাবে সেই কঙ্গনা রানাউত প্রশ্ন তোলেন, যদি জয়া বচ্চনের ছেলের কিংবা মেয়ের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা ঘটতো তা হলে তিনি কি এমন কথা বলতে পারতেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় জয়ার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। তবে তাঁর মন্তব্যকে ঘিরে সমালোচনার ঢেউও উঠেছে। অন্যদিকে, জয়ার গতকালের বক্তব্যের পর আজ প্রতিবাদে মুখর হলেন হেমা মালিনী। সাফ জানালেন, ”বলিউড থেকেই নাম, খ্যাতি, সম্মান সবকিছু পেয়েছি। তাই বলিউড নিয়ে কুৎসা হলে খারাপ লাগে।” বিরোধী দলের নেত্রীকেই সমর্থন করে বিজেপি সাংসদ হেমা মান্নার কথায়, ”নির্দিষ্ট কিছু লোকজনের জন্য গোটা বলিউডকে এভাবে কালিমালিপ্ত করা যায় না”। হেমা আরও বলেন, ”বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি শিল্প ও সৃজনশীলতার জায়গা। বলিউডর সঙ্গে কঙ্গনার তোলা নেপোটিজম বিতর্ক তুলে হেমা বলেন, ”কোনও তারকার ছেলেমেয়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যোগ দিলেই তাঁরা সুপারস্টার হয়ে ওঠেন না, ভাগ্য ও প্রতিভা, অবশ্যই দরকার পড়ে।”
