গ্রেফতারের পরেই শেখ শাহজাহানকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করল তৃণমূল। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল ভবন থেকে ঘোষণা করা হয়, সন্দেশখালির তৃণমূল নেতাকে ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হল। এই আবহে ১০ মার্চ তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের দিনেই সন্দেশখালিতে সভার ডাক দিলেন শুভেন্দু। এদিন সভা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গোটা দ্বীপ আমার সঙ্গে, গোটা গ্রাম আমার সঙ্গে। দেখুন ১০ হাজার লোক বেরিয়ে পড়েছে। ১০ তারিখে বড় সভা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে এর আগেও আরও দুবার যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শুভেন্দু। প্রথমদিন তিন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সরবেড়িয়া বাজারের কাছেই পুলিশ বাধা দেয়। ১৪৪ ধারা জারি থাকার সুবাদে তাকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যেতে বাধা দেন তারা । বিকেল পর্যন্ত সেখানেই ধরনায় বসে ফেরত আসতে বাধ্য হন শুভেন্দু। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশনামা হাতে নিয়ে সন্দেশখালি ঢোকেন শুভেন্দু। সেদিনই শাঁখ বেজেছিল, উলুধ্বনি পড়েছিল, ফুলের মালা পরিয়েছিলেন সন্দেশখালির মহিলারা। শেখ শাহাজাহান গ্রেফতার হতেই ফের সন্দেশখালির মাটিতে পা রাখছেন শুভেন্দু অধিকারী।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, দুই সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং ডেরেক ও ব্রায়ান। সেখানেই সন্দেশখালিতে তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড করার ঘোষণা করেন ডেরেক। এদিন ব্রাত্য বলেন, ‘‘দলের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তৃণমূল যে পদক্ষেপ নেয়, এটাই তার প্রমাণ।”