তিনদিনের দলীয় সফরে গোয়ায় গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সফরের প্রথমদিন অর্থাৎ শুক্রবার সকালেই এক অনুষ্ঠানে বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন,”আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। গোয়াতে নতুন সকাল আনতে হবে। আমি ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি, অভিন্ন ভারতে বিশ্বাস করি।” গোয়ায় পা দেওয়ার পরেই তাঁকে কালো পতাকা দেখানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন,”আমিও গোয়ার সন্তান। আমাকে বিমানবন্দরে কালো পতাকা দেখানো হয়েছে, আমি নমস্তে বলেছি। তৃণমূল কখনও আপস করে না, আমাদের পার্টি বিক্রি হওয়ার নয়।”
আজ জনসভা থেকে তিনি কার্যত হুঙ্কার দিয়ে বলেন,”সাইনবোর্ড হওয়ার জন্য গোয়ায় আসিনি। আমরা ভবিষ্যতে মহিলা সংরক্ষণ ও তারুণ্যে গুরুত্ব দেব। পশ্চিমবঙ্গে আমরা গতিধারার নামে ট্যাক্সি কিনতে আর্থিক সাহায্য দিই। মৎস্যজীবীদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়, ঘর ভাঙলে সারানো হয়।” পশ্চিমবঙ্গের সাফল্যের কথাও এদিন তুলে ধরেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর সাফ দাবি,”তৃণমূলের আমলে পশ্চিমবঙ্গে দারিদ্র্য কমেছে ৪০ শতাংশ। বাংলায় আমরা কন্যা সন্তানদের সবাইকে স্কলারশিপ দিই। পড়ুয়াদের ট্যাব, সাইকেল দিয়ে সাহায্য করা হয়।” জনসভার মঞ্চ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে তাঁর দাবি, “গোয়ায় আসার আগে আমাদের পোস্টার বিকৃত করা হয়েছে। এসব করলে ভারত থেকে আপনারা মুছে যাবেন। আপনারা আমাদের বিশ্বাস করলে, লড়তে আমরা তৈরি। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে আমরা তৈরি। গোয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর। কোনওরকম বিভেদমূলক রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।”
এরপরেই তৃণমূলের কথা তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য,”দুর্গাপুজো, কালীপুজো হয়, ইফতারে যাই, চার্চে প্রার্থনায় যোগ দিই। সংখ্যালঘুদের আমরা ভরসা দিই, আমরা ভাগাভাগির রাজনীতি করি না। দেশকে আমরা ভাগ করতে চাই না।” বিজেপিকে নিশানা করে তাঁর দাবি,”অন্যের ক্যারেকটার সার্টিফিকেট নেওয়ার আগে, নিজেদের সার্টিফিকেট দেখান। আমাকে এখানে আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন? তৃণমূলকে ভয় পেয়ে বাধা দেওয়া হচ্ছে।”