ইউটিউবে মিলিয়নভিউ ছাড়িয়েছে বাদাম গান। প্রতিমুহূর্তে ক্রমাগত ভাইরাল হচ্ছে গানটি । দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও এই গানের রিমেক তৈরি করেছেন অনেকেই । তবে ভিডিওতে উপস্থিত ওই ব্যক্তি বিশেষ কোনও পণ্ডিতের কাছে সঙ্গীত চর্চা করেছেন বলে মনে হয় না। তারপরেও গানের মধ্যে এক অপূর্ব শ্রবণ মাধুর্য আছে । আর এই মাধুরী আপনাকে এই স্রষ্টার সম্পর্কে আরও কৌতুহলী করে তুলবে। ভদ্রলোক আমার আপনার মতই খুবই সাধারণ। সাধারণের মধ্যে অতি অপরূপ অসাধারণত্ব লুকিয়ে রয়েছে তার প্রমাণ এই গান। গানের স্রষ্টা নাম ভুবন বাদ্যকর। ভদ্রলোকের বাড়ি বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষীনারায়নপুর পঞ্চায়েতের কুড়ালজুরি গ্রামে। সেখানেই পথে-ঘাটে বাদাম ফেরি করেন তিনি। যদিও বাদামের রকমারি নেই তাঁর কাছে। গানের মাঝেই জানিয়েছেন কেবল কাঁচা বাদাম আছে, ভাজা বাদাম চাইলেও দিতে পারবেন না তিনি। একটি গানের মধ্য দিয়েই সত্যতাকে ফুঁটিয়ে তুলেছেন তিনি।
নিজেই লিখেছেন এই গান ,এমনকি সুর দিয়েছেন তিনি নিজেই। আর সেই গান বিশ্বের দরবারে বহুল প্রশংসিত। স্বভাবতই প্রশংসা পেতে ভালো লাগছে সুরকারের। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী বহু মানুষ তাঁর গান শুনেছেন, কেউ কেউ সামনে এসে প্রশংসা করছে। ভাল লাগছে তাঁর। তিনি জানিয়েছেন তাঁর এই গান শুনে অনেকেই বাদাম কিনতে আসে তাঁর কাছে কখনও পাঁচটাকা,দশ টাকা দিয়ে বাদাম কেনেন তাঁরা । জানা যায় এক সময় হেঁটে বাদাম ফেরি করতেন তিনি। পরবর্তীতে বেশকিছুদিন সাইকেলে করে বাদাম ফেরি করেছেন ভদ্রলোক । অবশেষে বাদাম বিক্রি করে জমানো পয়সা থেকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোটরসাইকেল কেনেন তিনি। বর্তমানে এতেই বাদাম ফেরি করতে দেখা যায় তাঁকে। তবে নিজের গানের এই অপরূপ সাফল্যে বেজায় খুশি হয়েছেন তিনি।