বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের ১৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্যের শুরুতেই বেথুন স্কুলের ১৭৫ বছর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “১৭৫ বছর পেরিয়ে আসা, চারটিখানি কথা নয়। ১৭৫ বছর আগে যে চারাগাছ জন্মেছিল, আজ তা মহীরূহ হয়ে গিয়েছে। যখন এই স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তখন মহিলা শিক্ষার কথা কেউ ভাবতে পারত না। আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে ৭৫ বছর, আর আপনাদের বয়স ১৭৫ বছর।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/05/WhatsApp-Image-2023-05-10-at-18.43.02.jpeg)
স্বাধীনতা আন্দোলনে, নবজাগরণে আপনাদের অবদান ছিল। নারী শিক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে আপনাদের অবদান ছিল। আজকের দিনে নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে আলোচনা হয়, কিন্তু ১৭৫ বছর আগে এটা নিয়ে কথা বলা সত্যিই আলাদা বিষয়।”
এদিন মমতা বলেন, “নারী জাগরণ না হলে, মেয়েরা এগিয়ে না এলে সমাজের ভাল হতে পারে না। মেয়েরা যদি ঘরের দায়িত্ব নিতে পারে, তাহলে বাইরের দায়িত্ব কেন নিতে পারবে না? মেয়েরা যেমন সংসার চালায়, তেমনই প্লেন, ব্যাঙ্ক, রেল এমনকী গোটা বিশ্ব চালায়।” নারীশিক্ষার ক্ষেত্রে বিদ্যাসাগরের ও সতীদাহ প্রথা অবলুপ্তিতে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকার কথাও বলেন মমতা।
তিনি বলেন, “বেথুন সাহেব, রামগোপাল ঘোষ, দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়, মদনমোহন তর্কালঙ্কার, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরেরা যে উদ্দেশ্য নিয়ে বেথুন স্কুল শুরু করেছিলেন, তা অনেক দূর এগিয়েছে। কিন্তু অনেক পথ যেতে হবে। এই দহনে, অগ্নিবাণেও আপনারা অনেক উজ্জ্বল, আপনারা বিশ্বে প্রথম হবেন। সেই বিশ্বাসে এগিয়ে চলুন, জয় হবেই।”
অন্যদিকে বেথুন কলেজের অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে নির্দেশ দেন, শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে স্কুলের এই কর্মসূচিতে কী করা যায় তা দেখে নিও। তিনি বলেন, “আপনাদের আজকের এই দিনটিকে উজ্জ্বল করে রাখার জন্য আমাদের একটি স্মরণীয় পুরষ্কার বঙ্গরত্ন বেথুন কলেজিয়েট স্কুলকে প্রদান করার কথা ঘোষণা করছি। আমাদের এই ছোট্ট দান। রাজ্য সরকারের বিশেষ গর্বের পুরষ্কার আপনাদের দেওয়া হল।”