আজ সকাল থেকেই চরমে উঠেছে কেন্দ্র-ট্যুইটার তরজা। আজ সকালে হঠাৎই ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ‘ব্লু টিক’ সরিয়ে নেয় ট্যুইটার। আর এরপরই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপান উতোর। যদিও চাপের মুখে পড়ে দু’ঘন্টার মধ্যেই আবার ব্লু টিক ফিরিয়ে দেয় ট্যুইটার।
সম্প্রতি দেশে নতুন তথ্য ও প্রযুক্তি আইন জারি করেছে কেন্দ্র। ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম সহ অন্যান্য কোম্পানিগুলি এই আইন মেনে নিলেও নতুন আইন মানতে নারাজ ট্যুইটার। এই প্রসঙ্গে ট্যুইটার আগেই জানিয়েছিল যে এই আইনের ফলে ভারতীয় ট্যুইটার গ্রাহকদের বাকস্বাধীনতার অধিকার নিয়ে তারা চিন্তিত।এর পরই তুঙ্গে ওঠে বিতর্ক। এদিন উপরাষ্ট্রপতির ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক সরিয়ে নেওয়ার মধ্য দিয়ে সেই বিতর্কের আগুনেই যেন ঘৃতাহুতি করল ট্যুইটার।
ব্লু টিক সাধারণত বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের অ্যাকাউন্টেই দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু এদিন সকালে হঠাৎই হাপিশ হয়ে যায় উপরাষ্ট্রপতির নামের পাশের ব্লু টিক। এ ব্যাপারে অবশ্য ট্যুইটারের সাফাই, বহুদিন ধরে উপরাষ্ট্রপতির অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো ট্যুইট না হওয়ায় সেটিকে অচল বলে ধরে নিয়েই এহেন পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। কিন্তু এই দাবী ঘিরেও আরও জমাট বেঁধেছে বিতর্ক। কেন্দ্রের দাবী, অরুণ জেটলি ও সুষমা স্বরাজের মৃত্যুর পরও তাঁদের নামের পাশে দীর্ঘদিন ধরেই ছিল ব্লুটিক। “কেন্দ্রের ধৈর্য্য পরীক্ষা করছে ট্যুইটার। এর জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে” এমনটাও জানানো হয়েছে সরকারি সূত্রে। তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের দাবী “উপ রাষ্ট্রপতি সমস্ত রাজনীতির উর্ধ্বে। এটি একটি সাংবিধানিক পদ। টুইটার কি একই কাজ আমেরিকার সাংবিধানিক পদে বসা মন্ত্রীদের সঙ্গে করতে পারত?” যদিও এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়াই দেয়নি ট্যুইটার। উপরাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে অভিযোগ জানানোর ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই ব্লু টিক ফিরিয়ে দেয় তারা।