করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে ভারতে| দ্বিতীয় ঢেউ এ নয়া স্ট্রেন কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে| রিপোর্ট নেগেটিভ, কিন্তু আসলে রোগী করোনা পজিটিভ। এরকম আক্রান্তের সংখ্যা ভুড়ি ভুড়ি। করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও কোনো ভরসা নেই, তাই করাতে হবে সিটি স্ক্যান। ফুসফুস রোগ বিশেষজ্ঞ তথা ন্যাশনাল অ্যালার্জি অ্যাজমা ব্রঙ্কাইটিস ইনস্টিটিউটের সম্পাদক ডা. অলোক গোপাল ঘোষাল জানিয়েছেন, “সিটি স্ক্যান অনেক সূক্ষ্ম বিচার করতে সক্ষম। অনেক ক্ষেত্রেই এখন আরটিপিসিআর করোনা ধরতে পারছে না। সেক্ষেত্রে সিটি স্ক্যানে তা ধরা পরছে।” এই মারণ ভাইরাসের কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট আছে। সিটি স্ক্যানে যদি দেখা যায় রোগীর বুকে ওই ধরণের বৈশিষ্ট বিদ্যমান, তড়িঘড়ি তাঁকে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে মাল্টি-ভিটামিন, জিঙ্ক ট্যাবলেট খাওয়ার নিদান দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/04/WhatsApp-Image-2021-04-09-at-15.41.36.jpeg)
র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট অথবা আরটিপিসিআর টেস্ট, এতদিন এই দুইই ছিল করোনা ধরার অস্ত্র। নতুন স্ট্রেনে ভোল বদলেছে, ইতিমধ্যেই গুজরাটে এমন অসংখ্য আক্রান্ত করোনা রোগীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।শুধু গুজরাট নয় কলকাতাতেও এরকম নয়া স্ট্রেনের রোগীর হদিশ মিলেছে|চিকিৎসকরা বলছেন, আরটিপিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেও কাশি কমছে না। দম নিতে পারছিলেন না রোগী। সিটি স্ক্যান করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে ফুসফুসে গভীর সংক্রমণ। সে কারণেই চিকিৎসকরা অনেক সময় একইসঙ্গে আরটিপিসিআর আর সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে অনেকেরই সিটি স্ক্যান করার সামর্থ্য নেই। ডা. অলোক গোপাল ঘোষাল জানিয়েছেন, এমন ক্ষেত্রে দু’বার আরটিপিসিআর টেস্ট করতে হবে রোগীকে। এতদিন অর্থাৎ করোনার প্রথম ওয়েভ এ শুধুমাত্র আরটিপিসিআরে কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এলে তবেই এইচআরসিটি স্ক্যান করে দেখে নেওয়া হতো ফুসফুস কতটা জখম হয়েছে। সংক্রমক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হীতেন কেরালিয়া জানিয়েছেন, এখন একই সঙ্গে দুটি টেস্ট করতে বলা হচ্ছে। আরটিপিসিআর এর সেন্সিভিটি ৭০ শতাংশ। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে ফলস নেগেটিভ রিপোর্ট আসার।