বোরখা পরিহিতা কয়েকজন গিয়েছিলেন দক্ষিণ দিল্লির মার্বিয়া ক্যাফেতে। জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশেই রয়েছে এই ক্যাফে। কিন্তু ওই ক্যাফের ভেতর ঢুকতেই দেওয়া হল তাদেরকে। তাদের অপরাধ কী? এই প্রশ্ন করলে জানানো হয়, সবকিছু পরে ওই ক্যাফেতে ঢোকা যায়। কিন্তু বোরখা পরে কোনওভাবেই ক্যাফের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয় না। এমন নিয়ম তৈরির পিছনে কারণ কী, এ কথা জানতে চাওয়া হলে এর জবাব মেলেনি।
গত রবিবার দুপুর দু’টো নাগাদ কয়েকজন মুসলিম মহিলা একসঙ্গে ক্যাফেতে ঢোকেন। রিসেপশনিস্ট জানতে চান, তাদের নামে কোনও টেবল বুক করা আছে কি না। তারা জানান, বুক করা নেই, তবে এখন তারা বুক করবেন। তখন স্পষ্ট বলে দেওয়া হয় এই পোশাকে কোনওভাবেই ভেতরে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। জবাব শুনে হতভম্ভ হয়ে যান মহিলারা। তর্কে না জড়িয়ে তারা ফিরে আসেন।
ওই ক্যাফেতে এমন নিয়ম আছে কি না জানতে বাড়ি ফিরে এক মহিলা ফের ফোন করেন। তাকে জানানো হয়, বোরখা পরে কাউকে ওই ক্যাফেতে ঢুকতে দেওয়া হয় না। এটা ওই ক্যাফের নিয়ম। এক মহিলা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, অন্য যেকোনও ধর্মীয় পোশাক পরলে ওই ক্যাফেতে ঢুকতে দেওয়া হয় বলে জানানো হয়েছে, বুঝলাম না বোরখা নিয়ে তাদের কি সমস্যা।
হিজাব বা বোরখা নিয়ে এই সমস্যা দেশে আগে কখনও হয়নি। কিন্তু গত কয়েক বছরে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা নতুন করে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পেলে দফায় দফায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিজাব নিয়ে সমস্যা শুরু হয়। কর্নাটকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরে ঢোকা যাবে না, এমন আইনও আনে তৎকালীন বিজেপি সরকার। বিভিন্ন রাজ্যে হিজাব পরে পরীক্ষার হলে ঢোকা নিয়েও আপত্তি জানানো হয়। এখন সেই জল গড়িয়েছে ক্যাফে পর্যন্ত।