তিনদিনের সফর শেষে আমেরিকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মার্কিন মুলুক থেকে তিনি মিশরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তবে তার আগে আমেরিকায় নিজের শেষ কর্মসূচিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ওয়াশিংটন ডিসি-র রোনাল্ড রেগান ভবনে এই ভাষণ দেন মোদী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেখানে প্রবেশ করতেই ‘ভারত মাতা কি জয়’ এবং ‘বন্দেমাতরম’ স্লোগান উঠতে শুরু করে। অনুষঠানের শুরুতেই জনপ্রিয় গায়ক মেরি মিলবেন ভারতীয় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। মঞ্চেই তিনি মোদীর পা ছুঁতে ঝুঁকে পড়েছিলেন।
সভায় আগত ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের উদ্দেশে মোদী বলেন, ‘এই হলে আপনারা ভারতের মানচিত্র এঁকেছেন। আমি দেখতে পাচ্ছি, ভারতের প্রতিটি কোণা থেকেই এখানে মানুষজন আছেন। মনে হচ্ছে এটা যেন মিনি ইন্ডিয়া। আমেরিকা সফরকালে আমি অভূতপূর্ব ভালবাসা এবং স্নেহ পেয়েছি। আমেরিকার মাটিতে ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর এত সুন্দর ছবি তুলে ধরার জন্য আমি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’ প্রায় ৪০ মিনিট ধরে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির জন্য জো বাইডেনের প্রশংসা করেন তিনি। মোদী বলেন, ‘তিনি সবসময় ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্বকে অন্য স্তরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।’ বাইডেনকে ‘অভিজ্ঞ’ রাজনীতিবিদ বলেও আখ্যা দেন মোদী। এরপর এই সফরকালে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির উল্লেখ করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘আকাশ কোনও সীমা নয় আমাদের জন্য।’ মোদী বলেন, ‘আপনারা সবাই এই অংশীদারিত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আপনাদের সবার সাথে দেখা করে মনে হচ্ছে শেষপাতে মিষ্টি খেলাম।’
পাশাপাশি মোদীর এই মার্কিন সফরে গুগল কর্তা সুন্দর পিচাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর, গুগল-প্রধান সুন্দর পিচাইয়ের মুখে শোনা গেল মোদির ডিজিটাল ইন্ডিয়া ভাবনার ভূয়সী প্রশংসা। গুগল কর্তা বললেন, মোদির ভাবনা চিন্তা তাঁর সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে ! অন্যান্য দেশগুলি এটি অনুসরণ করছে।