কোভ্যাক্সিনে বাছুরের রক্তরস! এই দাবীকে ঘিরেই তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। সম্প্রতি,গৌরভ পান্ধি নামক এক ব্যক্তি ট্যুইটারে দাবী করেন যে কোভ্যাক্সিনে রয়েছে বাছুরের রক্তরস। নিজের দাবীর সপক্ষে একটি আরটিআই এর নথিও পোস্ট করেন তিনি। জাতীয় কংগ্রেস আইটি সেলের ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটর বলেই নিজের পরিচয় দিয়েছেন গৌরব পান্ধি। আর তাঁর এই দাবীকে ঘিরেই তুমুল বিতর্ক শুরু হয় দেশজুড়ে। ট্যুইটে তিনি লেখেন, “একটি আরটিআই এর জবাবে মোদী সরকার স্বীকার করে নিয়েছে যে কোভ্যাক্সিনে নবজাতক বাছুরদের সেরাম থাকে। যা ২০ দিনের কম বয়স্ক বাছুরদের হত্যার পর জমাট বাধা রক্ত থেকে সংগৃহীত একটি অংশ। এটা নৃশংস। এই তথ্য আগেই জনসমক্ষে আনা উচিত ছিল।”
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/06/WhatsApp-Image-2021-06-16-at-21.31.40.jpeg)
এই ট্যুইটের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনও। তিনি ট্যুইট করেন, “কোভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত প্রোডাক্টে বাছুরের রক্তরস নেই। কোভ্যাক্সিনে বাছুরের রক্তরস থাকে না। ভুল ভাবে তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে। বহু দশক ধরে ভ্যাকসিন তৈরিতে প্রাণীর রক্তরস ব্যবহার করা হয়। কিন্তু, চূড়ান্ত পর্যায়ে ভ্যাকসিনে আর রক্তরস থাকে না।” এই বিতর্কে সামিল হয়েছে কোভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেকও। বিবৃতি জারি করে তারা জানিয়েছে, ‘ভাইরাস ঘটিত রোগের ভ্যাকসিন তৈরিতে বাছুরের রক্তরস ব্যবহার করা হয়। এটা ব্যবহার করা হয় কোষের বৃদ্ধির জন্য। কিন্তু, তা কোভিড ভাইরাসের বৃদ্ধি বা প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয় না। কোভ্যাক্সিন খুবই পরিশুদ্ধ, এর মধ্যে শুধুমাত্র নিষ্ক্রিয় ভাইরাসই থাকে। ভ্যাকসিন উত্পাদনে বিশ্বজুড়ে দশকের পর দশক ধরে গবাদি পশুর রক্তরস ব্যবহার করা হয়। বাছুরের রক্তরস ব্যবহারের কথা স্বচ্ছতার সঙ্গে গত ৯ মাস ধরে বলা হয়েছে।’
এখানেই থেমে নেই এই জলঘোলা পর্ব। কংগ্রেস মহা পাপ করছে এহেন দাবীও করতে শোনা গেছে বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্রকে। তবে এহেন বিতর্ক তৈরির পিছনে যে রাজনৈতিক স্বার্থই প্রধান ভূমিকা পালন করছে এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।