হাথরসে দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। শুক্রবার এমনটাই জানাল সিবিআই। শুক্রবার হাথরস আদালতে সিবিআই চার্জশিট পেশ করে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৩৭৬ এ, ৩৭৬ ডি ও ৩০২ ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়। একইসঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তফশিলি জাতি-উপজাতি আইনের অধীনেও ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের করে তদন্তকারী সংস্থা।
১৪ সেপ্টেম্বর হাথরসে বাজরার ক্ষেতে মায়ের সঙ্গে কাজে গিয়েছিলেন তরুণী। সেখানেই গণধর্ষণের শিকার হন তরুণী। তাঁর জিভ কেটে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। হাসপাতালে তরুণী সেই বয়ান দেন। যদিও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ মানেনি। পরে দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু হয় তরুণীর। তাঁর পরিবারের অমতেই মাঝরাতে দাহ করে দেয় পুলিশ। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে যোগী সরকার।
প্রশাসন দাবি করে, তরুণীর পরিবারের মত নিয়েই দাহ হয়েছে। চাপের মুখে পড়েই সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার। অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, সিবিআই তদন্তের উপর নজরদারি করবে এলাহাবাদ কোর্ট। চলতি সপ্তাহেই সিবিআই তদন্ত শেষ করার জন্য আরও কিছু সময়ের আবেদন জানায় আদালতে। বুধবার এলাহাবাদ আদালত সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী বছরের ২৭ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করে। অন্যদিকে, অভিযু্ক্ত চার যুবক জেল থেকেই উত্তরপ্রদেশ পুলিসের কাছে চিঠি লিখে জানিয়েছে, তাঁদের চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তরুণীর পরিবার।