নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ বিরোধীরা যখন স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে সুর চড়াচ্ছে, পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ তুলছে। সেইসময় মমতা সরকারের সেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমেই সুবিধা পেলেন হৃদরোগে আক্রান্ত এক মহিলা। ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের। দীর্ঘ দিন ধরেই হৃদরোগে আক্রান্ত দীপালি কলা নামে ওই মহিলা। স্থানীয় ডাক্তারদের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যরা পরামর্শ করলে মহিলার শরীরের ভাল্ব পরিবর্তন করার কথা জানান ডাক্তাররা। তবে দহৃদপিন্ডের ভাল্ব পরিবর্তন করার আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় অসুস্থ হয়েই কোনওরকমে বেঁচে ছিলেন তিনি।
বেশ কিছুদিন আগে গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে প্রথমে ভর্তি করা হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে। একটু সুস্থ বোধ করলে তাঁকে ফের বাড়িতে নিয়ে এসে বেশ কিছুদিন চিকিৎসা চালানো হয়। এরপর কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখানে দীপালিকে ভর্তি করেন পরিবার পরিজনেরা। অবশেষে ভাল্ব পরিবর্তনের অপারেশনও করা হয়। প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে চলে চিকিৎসা। চিকিৎসা বাবদ মোট খরচ হয় ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা। এবং বাড়ি ফেরা বাবদ গাড়ি ভাড়া জন্য দেওয়া হয় বেশ কিছু টাকা। আর এই পুরো টাকাটাই স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডের মাধ্যমে দেন পরিবারের লোকেরা।
দীর্ঘদিনের অসুস্থতা কাটিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় চিকিৎসা পেয়ে খুশি পরিবার সহ প্রতিবেশীরা। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা পেয়ে পরিবারের লোকেরা বারবার মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানান। এবং কারোর কথা শুনে নয় অসুস্থ হলে হাসপাতলে গিয়ে চিকিৎসা করা এবং স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে সমস্ত পরিষেবা নেওয়ার পরামর্শ দেন দীপালি ও তাঁর পরিবার।