নির্ধারিত দিনের আগেই পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করা হল দুয়ারে রেশন প্রকল্প। তবে কথা ছিল আগামীকাল থেকে শুরু হতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে রেশন প্রকল্প। কিছুদিন আগেই বৈঠকের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয় আপাতত পাইলট প্রজেক্ট হিসেবেই শুরু হতে চলেছে এই প্রকল্প। রাজ্যের মোট ২৩ জেলার ২৮ টি রেশন দোকানকে নির্ধারিত করা হয়েছিল। মূলত বাড়ি বাড়ি গিয়েই রেশনের প্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দেবেন তাঁরা। আজ সকালেই রাজ্যের দুই জেলা প্রস্তুতি মূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই প্রকল্পের শুভ সূচনা করে। আর ঝারগ্রাম এবং বীরভূমের রেশন দোকানের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে রেশন পৌঁছে দেন সাধারন মানুষের ঘরে। এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে খুশি সকল গ্রাহকেরা। কিছুদিন আগেই খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডিকে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল একটি রেশন দোকানে । মূলত ভূমিস্তরে নেমে কাজ করার কারণেই এত বড় পদে বসানো হয়েছে জ্যোৎস্না মান্ডিকে।

২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোট প্রচারে গিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন ক্ষমতায় এসে তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে পারলেই দুয়ারে রেশন প্রকল্প শুরু করবেন তিনি। তাই পূর্বপ্রতিশ্রুতি মতোই ক্ষমতায় এসে সেই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বৈঠক ডাকেন তিনি। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলার রেশন ডিলারদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল আগামীকাল থেকে শুরু হবে দুয়ারের রেশন প্রকল্পের পরীক্ষামূলক বন্টন কিন্তু বাস্তব অন্য এক গল্প বলছে।নির্দিষ্ট দিনক্ষণ স্থির করার পরও তার একদিন আগেই জঙ্গলমহল এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুরু হল বাড়ি বাড়ি রেশন বিলি। আর সেই কারণেই এই কঠিন পরিস্থিতিতেও রীতিমতো হাসির রেখা ফুটিয়ে ঝারগ্রাম এবং বীরভূমের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের মুখে। তাহলে কি এবার সত্যিই পরিবর্তনের হাওয়া আসতে চলেছে রাজ্য জুড়ে? নাকি ভোট পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবেই তড়িঘড়ি কাজ সারতে নেমে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী? এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।