পুনর্নির্বাচনের দিনও উত্তপ্ত কোচবিহারের শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথ । জানা যাচ্ছে শেষ দফার, সূচনা পর্ব থেকেই উত্তপ্ত বাংলা, ইতিমধ্যেই খবরের শিরোনামে ফিরতে দেখা গেল শীতলকুচির নাম। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে বিজেপির প্রার্থীর বিজেপির পতাকা লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘোরার অভিযোগ উঠলো বিজেপি প্রার্থী বরেন্দ্রচন্দ্র বর্মনের বিরুদ্ধে।তৃণমূলের তরফ থেকে করা হয়েছে এই অভিযোগ পাশাপাশি অন্য দিকে এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পুলিশকে নির্বাচন কমিশনের দালাল বলে মন্তব্য করলেন। তৃণমূলের তরফ থেকে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে নির্বাচন কমিশন বিজেপি-র কথায় চলছে । যদিও বুথের সামনে গাড়ি নিয়ে ঘোরার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেন এই বিজেপি প্রার্থী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য চতুর্থ দফায় ভোট হবার কথা ছিল শীতলকুচিতে। তবে ওই দিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল শীতলকুচির অবস্থা। ভোটদান কেন্দ্রের সামনে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় ১৮ বছরের এক যুবকের। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় আরও ৪ জনের। রক্তাক্ত শীতলকুচিতে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া চালানো অসম্ভব হয়ে উঠেছিল একটা সময়ের পর । এবং সেই কারণেই নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল সেদিনের ভোট গ্রহণের ওপর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ,শুধু তাই নয় এমনকি মৃত ওই পরিবারগুলির সদস্যদের সমবেদনা জ্ঞাপনের জন্য পরদিনই শীতলকুচি রওনা দিতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ৭২ ঘণ্টার জন্য শীতলকুচিতে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় । যদিও এই সকল সিদ্ধান্ত একটি ইঙ্গিত রেখে যায় ,যা হল সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা কিন্তু শেষমেশ আজ অষ্টম দফাতেও খবরের শিরোনামে রয়ে গেল শীতলকুচি।