এবার কলকাতায় শুরু হতে চলেছে করোনা ভ্যাকসিন রাশিয়ার স্পুটনিক লাইট প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ। এই সপ্তাহেই ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের পাশে রুবি হাসপাতালে শুরু হতে পারে এই প্রয়োগ। স্পুটনিক লাইট টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সঙ্গে যুক্ত স্নেহেন্দু কোনার জানিয়েছেন, এই প্রথম রাজ্যে এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হতে চলেছে।
এখনও পর্যন্ত দেশে আপাতত দু’টি টিকার প্রতিষেধক অনুমোদন পেয়েছে। স্পুটনিক লাইট অনুমোদন পেলে দেশে এক টিকার করোনা প্রতিষেধক পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই উদ্দ্যেশেই এবার দেশের ১০টি জায়গায় ১৮০জন স্বেচ্ছাসেবককে নিয়ে স্পুটনিক লাইটের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হতে চলেছে। এ রাজ্যের রুবি জেনারেল হাসপাতালে ১৮ জনের শরীরে এই প্রতিষেধক দেওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়াও স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং নীলরতন সরকার হাসপাতালেও এই পরীক্ষা চালানোর জন্য তোড়জোড় চালানো হচ্ছে।
স্নেহেন্দু জানিয়েছেন, স্পুটনিক লাইটের মাত্র একটি টিকা নিলেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উপযোগী অ্যান্টিবডি শরীরে তৈরি হবে। সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আর কোনো প্রয়োজন হবে না। এই প্রতিষেধকের দাম ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যেই হতে পারে বলে সূত্রের খবর। চিকিৎসক অর্পণ দত্তরায় জানান, স্পুটনিক ভি-এর আদলেই প্রস্তুত করা হয়েছে স্পুটনিক লাইট। তাঁর বক্তব্য, একটি রুশ সমীক্ষায় অনুসারে এই প্রতিষেধক করোনার বিরুদ্ধে ৭৯.৬ শতাংশ কার্যকর। এই টিকার প্রয়োগমূলক পরীক্ষায় ১৮ জন স্বেচ্ছাসেবককে স্পুটনিক লাইট দেওয়া হবে। টিকার মতো বিকল্প কোনও তরল বা ‘প্লাসিবো’ ব্যবহার করা হবে না এই পরীক্ষায়। স্পুটনিক টিকা প্রয়োগের পর মোট ছ’বার স্বেচ্ছাসেবকদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। ১৮০ দিন পর্যন্ত ওই টিকা গ্রহীতার শরীরে কতটা অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, তা দেখা হবে হলে জানান অর্পণ। এই নতুন টি সাফল্য লাভ করলে করোনার থাবার হাত থেকে বাঁচার অন্যতম পথ প্রদর্শিত হবে এই আশাতেই বুক বাঁধছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা।