বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে অভিভাবকহীন করে চলে গেলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। চল্লিশ দিনের লড়াইয়ে ইতি টানলেন পর্দার অপু। রবিবার সন্ধ্যায় উৎসবের শহরে নিমেষে কেমন যেন আলোহীন হয়ে পড়ে। সবাইকে কাঁদিয়ে তিন ভুবনের পারে
চলে গেলেন ফেলুদা
। এদিন তাঁর শেষযাত্রায় শহরের রাজপথে জনজোয়ারে ভেসে যায়। রবীন্দ্রসদন থেকে কেওড়াতলা মহাশ্মশান পর্যন্ত রাজনৈতিক পদযাত্রায় সামিল হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বামনেতা সুজন চক্রবর্তী, বিমান বসুরা। টলিউডের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। এছাড়াও প্রিয় অভিনেতাকে শেষবারের মত দেখতে উপচে পড়ে অনুরাগীদের ভিড়। এদিন কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শিল্পীকে গানস্যালুট দেওয়া হয়। তারপরই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এদিন বাবাকে শেযবারের মত জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন মেয়ে পৌলমী বসু। এদিন শিল্পীর মৃত্যুর পর বেলভিউ হাসপাতালে দাঁড়িয়ে সবাইকে মন খারাপ না করার অনুরোধ করেন সৌমিত্র কন্যা। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, বাবার মৃত্যু আমরা সেলিব্রেট করব, কেউ ভেঙে পড়বেন না
।

এদিন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শিল্পীকে শেষবিদায় জানানো হয়।
এদিন বিকাল সাড়ে পাঁচটায় রবীন্দ্রসদন থেকে কেওড়াতলা মহাশ্মশানের উদ্দেশ্যে সৌমিত্রবাবুর পার্থিব শরীর নিয়ে রওনা দেয় পরিবার,পরিজন ও অনুরাগীরা। সব রঙের বিভেদ ভুলে এদিন শেষযাত্রায় পা মেলান মমতা, বিমানরা। রাস্তায় ধারে মানুষের উপচে পড়ল ভিড়। অনুরাগীরা সজল চোখে বিদায় জানাল তাঁদের প্রাণের প্রিয় অপুকে। তাঁর শেষ ঝলক মনের মণিকোঠায় বন্দি করল শহরবাসী। শহরজুড়ে ধ্বনিত হল যেখানেই থেকো ভালো থেকো অপু
।