ভারতীয় খাদ্যতালিকার সাথে ওতোপ্রোতভাবে আজকাল জড়িয়ে পড়েছে বিদেশী খাবার। কন্টিনেন্টাল খাবারের চাহিদা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। ল্যাম্ব প্যাটি থেকে শুরু করে চিজ়ে মাখামাখি বেক্ড আলু বা মাংস, নানা ধরনের স্যালাড— কন্টিনেন্টাল পদের সংখ্যা নেহাত কম নয়।
পাশাপাশি মন কেড়েছে আরোও বেশ কয়েকটি বিলিতি খাবার। আজ বিশ্ব খাদ্য দিবসে সেই সন্ধানই রইলো আপনাদের জন্য ।
১) বেকড পাস্তা উইথ গ্রিন ভেজিটেবল : এটি প্রধানত ইতালিয়ান খাবার। এই খাবারে তেলের প্রয়োজন নেই। শুধু দরকার অল্প চিজ। এখানে সব ভেজিটেবল সেদ্ধ তাই এটি একটি পুষ্টিকর খাবারও। ভিটামিন, আয়রন, প্রোটিন, ক্যালসিয়ামও পরিপূর্ণ থাকে এই খাবারে। ফলে ছোট বড় যে-কোনও বয়সের জন্যই উপযোগী খাবার।
২) নাচোজ : মেক্সিকান খাবার নাচোস ইতোমধ্যে আমাদের মন কেড়ে নিয়েছে। মুচমুচে চিপসের সঙ্গে দারুণ ক্রিমি ও চিজি চিকেন কিংবা ফ্রেশ টমেটো সালসা মিলেমিশে দারুণ লোভনীয় একটি খাবার হয়ে ওঠে। বিকালে ফুচকার জায়গায় আজকাল অনেকেই নাচোসকে জায়গা দিচ্ছেন।
৩) নিগিরি সুশি : কলকাতায় যে সব বিদেশি রান্নার কদর রয়েছে তার মধ্যে জাপানের সুশি অন্যতম। সুশি সাধারণত বাদামি অথবা সাদা ভাত দিয়ে তৈরি হয়। এতে একধরনের সামুদ্রিক মাছ দেওয়া হয় যা সাধারনত কাঁচা অবস্থায় থাকে; কিন্তু কখনও কখনও সুশিতে ভাজা মাছও দেওয়া হয়ে থাকে। সুশি পরিবেশন করা হয় সাধারনত আদা, মুলো, সয়া সস সহকারে।
৪) নুডলস স্যুপ (গুয়ায় তিয়াও) : থাই নুডলস স্যুপ মূলত এক ধরণের লাইট স্যুপ যা রাইস ও ইয়োলো নুডলস, সবজি এবং সী ফুডের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়। থাই নুডলস স্যুপ থাইদের সাথে সাথে এখন বঙ্গবাসীর মধ্যেও খুবই জনপ্রিয়।
৫) কিমচি : কোরিয়ানরা আদতে গ্রিলড করা মাংসের সঙ্গে মশলাদার ও টক জাতীয় সসে ডোবানো বাঁধাকপি খায়। একে বলে কিমচি। কিমচি হল প্রিজার্ভড ক্যাবেজ, যা কোরিয়ান ফুডে আপনি সাধারণত পেয়ে থাকবেন।