হাথরাস ঘটনার পর আবারও গণধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশে । দিল্লির নির্ভয়া কান্ডের মত হাড় হিম করা নৃশংসতার শিকার এবার বছর পঞ্চাশের এক মহিলা। রবিবার ঘটনাটি ঘটে উত্তর প্রদেশের বুদায়ুন জেলায়। গণধর্ষণের পর মহিলার যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে অত্যাচার করে ধর্ষণকারীরা। অত্যাচারের বশে পাঁজর এবং পা ভেঙে যায় মহিলার।
তোলা গ্রামের বাসিন্দা মধ্যবয়স্কা এই মহিলা প্রতিদিনের মতই রবিবার মন্দিরে গিয়েছিলেন পুজো দিতে। কিন্তু তারপর সেদিন রাতে তাকে একটি গাড়িতে করে বাড়ির দরজার সামনে ফেলে রেখে আসেন সেই মন্দিরের পুরহিত এবং তার শিষ্যরা। নিহত মহিলার সন্তান সংবাদমাধ্যমকে জানায় যে, এরপর তখন সে তার মায়ের নিম্নাংশে রক্তক্ষরণ লক্ষ্য করে এবং লক্ষ্য করে যে তার মায়ের পা ভাঙ্গা। নির্যাতিতার স্বামী অভিযোগ করেছেন মন্দিরের পুরোহিতের বিরুদ্ধে । তাঁর বক্তব্যর,যদি পুরোহিতরা এই কাজ না করতেন তাহলে তাঁরা তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেন, এভাবে ফেলে দিয়ে যেতেননা ।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী মহিলার নিম্নাঙ্গে আঘাতের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে । মৃত্যুর আগে পা ও পাঁজর ভেঙে গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মহিলার মৃত্যু ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে । চিফ মেডিক্যাল অফিসার যশপাল সিং জানিয়েছেন ধর্ষণ করে মহিলাকে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনাটি রবিবার ঘটলেও এফআইআর দায়ের করা হয়েছে মঙ্গলবার। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠে আসছে পুলিশ এবং প্রশাসন ব্যবস্থার অসঙ্গতির। প্রশ্নের মুখে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রশ্ন উঠে আসছে বিভিন্ন মহল থেকে উত্তর প্রদেশের মহিলাদের নিরাপত্তা ঘিরে। ইতিমধ্যে তিনজন অভিযুক্তের মধ্যে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।পুরো ঘটনায় নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সেন রেখা শর্মা।
এরইমধ্যে এক পুরোহিতের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে তিনি জানাচ্ছেন- ওই মহিলাকে তাঁরা মন্দিরের পাশের কুয়ো থেকে উদ্ধার করেন। যদিও ভিডিওটির উৎস জানা যায়নি ।
এই ঘটনাকে মধ্য নজরে রেখে পুলিশ ও প্রশাসনের অসঙ্গতি এবং যোগী আদিত্যনাথ সরকারের সময়কালে নারী নিরাপত্তার বিষয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী । এমনকি উত্তরপ্রদেশের নারী নিরাপত্তার প্রশ্ন সারা দেশ বাসীর মুখে । পর পর ঘটে যাওয়া এই ঘটনাগুলির সম্পর্কে কি উত্তর দেবে সরকার ?