চ্যারিটি ফান্ডে অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ১৭ কোটি টাকা, আয়কর বিভাগকে নিজের পর্যাপ্ত সম্পত্তির হিসেব দিলেন বিখ্যাত অভিনেতা সনু সুদ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই আইকর বিভাগের তরফ থেকে অভিযান চালানো হয় বিখ্যাত অভিনেতা সনু সুদের বাড়িতে ।পাশাপাশি অভিযান চালানো হয় তাঁর অফিসেও। দীর্ঘ কুড়ি ঘন্টা তল্লাশি চালায় আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা। জানানো হয় ১৮ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছেন অভিনেতা। সেই অভিযোগ একান্তই অস্বীকার করেছেন অভিনেতা। এমনকি তিনি এও জানান,আইকর বিভাগীয় তল্লাশিতে নিজের মত করে সমস্ত রকম সহযোগিতা করেছেন অভিনেতা। যদিও আইকর বিভাগে তরফ থেকে অভিনেতার বিরুদ্ধে ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কেবলমাত্র করফাঁকি নয় ,পাশাপাশি ক্রাউডফান্ডিং প্ল্যাটফর্মের জন্য বিদেশ থেকে ২.১০কোটি টাকা অনুদান নিয়েছেন অভিনেতা। যা ভারতীয় বৈদেশিক অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনকে লংঘন করে।

পাশাপাশি নন-প্রফিট চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের সূচনা করেছেন অভিনেতা। সেই ক্ষেত্রে এনজিওতে এখনও পর্যন্ত জমা পড়া ১৮ কোটি টাকার মধ্যে ১.৯কোটি টাকা ব্যবহার করা হলেও বাকি টাকা এখনও রয়েছে এই সংস্থার ব্যাংক একাউন্টে। যদিও এই প্রসঙ্গে অভিনেতা জানিয়েছেন, আগামী দিনে এই টাকা ব্যবহার করা হবে হায়দ্রাবাদের একটি হাসপাতাল নির্মাণের কাজে। ইতিমধ্যেই সেই হাসপাতাল নির্মাণের ক্ষেত্রে দু’কোটি টাকা ব্যবহার করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘যে কোনও ফান্ডে জমা হওয়া টাকা খরচ করার সময়সীমা থাকে এক বছর। তবে প্রয়োজন মাফিক সেই সময়সীমা বাড়ানো যেতে পারে আরও এক বছর পর্যন্ত। প্রথমবার করোনা সংক্রমনের সময় নিজের টাকা ব্যবহার করেই পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়িতে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তখন আলাদাভাবে কোনও ফান্ড ছিল না আমাদের। তবে এই ফান্ড আমি শুরু করেছি মাত্র কয়েক মাস আগেই ।সেই দিক থেকে টাকা খরচ করার জন্য আমার হাতে এখনও সাত-আট মাস সময় রয়েছে। সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত টাকা আমি নষ্ট হতে দেব না কোনোভাবেই।’