একুশের বঙ্গ নির্বাচনের কুরুক্ষেত্রে টিকিট দেয়নি দল। সেই অভিমানেই তৃণমূল ছেড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একদা ছায়াসঙ্গী সোনালী গুহ। দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেও কাঙ্ক্ষিত সম্মান ও মর্যাদা মেলেনি সেখানেও। গেরুয়া শিবিরও টিকিট দেয়নি তাঁকে। মাঝে গড়িয়েছে মাত্র কয়েকটা মাস। এর মধ্যেই আবার তৃণমূলের ফিরতে চেয়ে একপ্রকার ভার্চুয়ালি কেঁদে ভাসালেন সাতগাছিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক। এদিন একটি আবেগঘন ট্যুইট করে দলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া বাঁচবেন না, এও জানান সেই ট্যুইটে। এদিন ট্যুইট করে তিনি লেখেন ” সম্মানীয়া দিদি, আমার প্রণাম নেবেন। আমি সোনালি গুহ, অত্যন্ত ভগ্ন হৃদয়ে বলছি যে আমি আবেগপূর্ণ হয়ে চরম অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম। যেটা ছিল আমার চরম ভুল সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনই আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। দিদি আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনি ক্ষমা না করলে আমি বাঁচব না। আপনার আঁচলের তলে আমাকে টেনে নিয়ে, বাকি জীবনটা আপনার স্নেহতলে থাকার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদান্তে, আপনার স্নেহের সোনালি গুহ।”
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/05/WhatsApp-Image-2021-05-22-at-14.17.26-1.jpeg)
সোনালীর বিজেপি ত্যাগ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের সাফ কথা, যে যেখানে শান্তিতে থাকে, সেখানেই থাকুক।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বার শপথ গ্রহণের পরই মমতা ঘোষণা করেন যে দলত্যাগীরা চাইলে দলে ফিরতেই পারেন। আজ সোনালীর ট্যুইট প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা সোনালীর ‘ঘর ওয়াপাসির’ সম্ভাবনা। যদিও আজকের এই ট্যুইটিকে ঘিরে হাসির রোক উঠেছে স্যোসাল মিডিয়ায়। অনেকে আবার বিদ্রুপ মেশানো ঠাট্টা করে এও বলছেন যে ‘টক্সিক প্রাক্তন যখন ফিরে আসতে চায়,তখন এমন করেই লম্বা মেসেজ লিখে কান্নাকাটি করে’। যাই হোক, কী হতে চলেছে সোনালী গুহর ঘরে ফেরার ভবিতব্য সেই প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে।