কাল কালীপুজো। কিন্তু, এবার দর্শকশূন্য মণ্ডপেই হবে শ্যামা মায়ের আরাধনা। হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে যে, কালীপুজোতে মণ্ডপের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেন না দর্শনার্থীরা। তবে, শুধুমাত্র কালীপুজোর ক্ষেত্রেই নয়; আসন্ন জগদ্ধাত্রী পুজো, কার্তিক পুজোতেও বহাল থাকবে এমনই নির্দেশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোয় হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মণ্ডপে প্রবেশের ক্ষেত্রে। শুধুমাত্র শর্তসাপেক্ষে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সমস্ত শর্তেই জল ঢেলে দুর্গাপুজোর দিনগুলোতে কার্যত জনজোয়ারে ভেসেছিল তিলোত্তমা। তাই, এবার কালীপুজোতে জনসমাগম আটকাতে রীতিমতো বদ্ধপরিকর হয়েই হাইকোর্ট জানিয়ে দিল যে, মাস্ক বা টিকার দুটি ডোজ নেওয়া থাকলেও মণ্ডপে প্রবেশের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র নয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর পর করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়তে থাকায় কালীপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোতেও মণ্ডপে দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার আর্জি নিয়ে কয়েক দিন আগেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়৷ আজ সেই মামলার শুনানি ছিল।
সেই মামলায় এ দিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, মন্ডপে প্রবেশাধিকারের ছাড়পত্র হতে পারে না শুধু মাস্ক বা ডাবল ভ্যাকসিন। সাধারণ মানুষের নিজেদের দায়িত্ব থাকবে। বড় ও ছোট প্যান্ডেলে খুব সীমিত সংখ্যক দর্শনার্থী ছাড়া প্রবেশ নয় বলেও আদালতের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে, দর্শনার্থী সংখ্যা নির্দিষ্ট করতে হবে ছোট ও বড় সব প্যান্ডেলের ক্ষেত্রেই। তার বেশি দর্শকের মণ্ডপে প্রবেশের অনুমতি থাকবে না।