এই বছরের শুরু থেকেই কর্ণাটক রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছিল হিজাব বিতর্ক। গত ৫ ফেব্রুয়ারি কর্ণাটক সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করে জানায় কর্নাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে হিজাব নিষিদ্ধ। এরপরই সারা কর্ণাটক রাজ্য জুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। কর্নাটকের উদুপি জেলায় বিক্ষোভের জেরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল স্কুল-কলেজ গুলি, প্রতিবাদের জেরে কর্ণাটক সরকারকে স্কুল-কলেজগুলি বন্ধ রাখতে হয় কিছুদিন। এরপরই মামলা গড়ায় আদালতে। মার্চের ১৫ তারিখ কর্ণাটক হাইকোর্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিয়ে এক ঐতিহাসিক রায় দেয়। কর্ণাটক হাইকোর্ট জানায়, ইসলাম ধর্ম চারণে হিজাব অপরিহার্য নয়। এরপরই কর্ণাটক হাইকোর্ট শিক্ষা প্রাঙ্গণে হিজাব নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে যে মামলাগুলি হয়েছিল তা সব খারিজ করে দেয়।
কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে অনেকগুলি পিটিশন দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কি রায় দেয় সেই দিকে নজর ছিল সবার কিন্তু সুপ্রিম কোর্টেও মিলল না উত্তর। মামলাটির শুনানি শেষে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ আলাদা আলাদা রায় দেয়। মামলাকারীদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে কর্নাটক হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে দেয় সুধাংশু ধুলিয়া, কিন্তু অন্যদিকে কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়কে বহাল রাখে হেমন্ত গুপ্তা। দুই বিচারপতির রায় আলাদা আলাদা হওয়ায় এই মামলাটি প্রথমে যাবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউ ললিতের সামনে, এরপর মামলাটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।