কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ধরনার পরই রাজ্যের কাছে এল প্রায় ১০০০ কোটি টাকার বেশি ফান্ড। মূলত ‘মিড ডে মিল’ ও ‘সমগ্র শিক্ষা মিশনে’র জন্য এই টাকা দেওয়া হয়েছে। এই দুই খাতে কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকা পাঠায়, তারই দ্বিতীয় কিস্তি পাঠানো হয়েছে মার্চ মাসে। এর মধ্যে রয়েছে মিড ডে মিলের ৬৩৮ কোটি ও সমগ্র শিক্ষা মিশনের ৫৭৬ কোটি টাকা।
‘মিড ডে মিল’ নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। গুণমান নিয়ে অভিযোগ থাকায় কেন্দ্রের ‘মিড ডে মিলে’র হাল খতিয়ে দেখতে এসেছিল কেন্দ্রের টিমও। উল্লেখ্য, সম্প্রতি জানা গিয়েছে, দেশের মধ্যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গই আবাস যোজনার টাকা পায়নি কেন্দ্রের কাছ থেকে। কেন্দ্রের তরফেই জানানো হয় সে কথা। সে ক্ষেত্রেও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
মিড ডে মিলের পাশাপাশি সমগ্র শিক্ষা অভিযান খাতেও কেন্দ্র টাকা রিলিজ করল রাজ্যকে।সমগ্র শিক্ষা অভিযান খাতের মধ্যে স্কুল পড়ুয়াদের বই দেওয়া, পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন-সহ একাধিক বিষয় যুক্ত রয়েছে। দুটি ক্ষেত্রেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের কাছে টাকা এসে যাওয়ায় যথেষ্ট স্বস্তির বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। ১০০ দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের টাকা, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার টাকা-সহ একাধিক ক্ষেত্রে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না বলে রাজ্যের অভিযোগ। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার লাগাতার ৩১ ঘন্টা ধরনা কর্মসূচি পালন করেছেন। ধরনা কর্মসূচি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে কড়া আক্রমণ করার পাশাপাশি “দিল্লি চলো “-র ইঙ্গিত দেন। তার মাঝেই মিড-ডে মিলের টাকা রাজ্যে আশায় স্বস্তি রাজ্যের প্রশাসনিক মহলে।