অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াতের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট। বাংলার নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই তাঁর উস্কানিমূলক ট্যুইট, বিদ্বেষমূলক মন্তব্য এবং আচরণের জন্যই তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে ট্যুইটার। কিন্তু ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হলেও থেমে থাকেননি কঙ্গনা। নিজের ফেসবুকে দেড় মিনিটের একটি ভিডিও শেয়ার করে কেঁদে ভাসালেন তিনি। ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়া নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার আবেদন জানান অভিনেত্রী।
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কঙ্গণার ট্যুইটারে বিদ্বেষ ও উস্কানিমূলক ট্যুইটের বন্যা দেখা যায়। কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আহত বাঘ, রাবণ ইত্যাদি বলে কটাক্ষ করে আবার কখনও পশ্চিমবঙ্গকে কাশ্মীরের সাথে তুলনা করে একের পর এক ট্যুইট করতে থাকেন পদ্মশ্রী জয়ী অভিনেত্রী। একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন “২০১৯ সালের পর মমতাদিদি আহত বাঘের মতো ফিরে এসেছে, কেন্দ্রকে হুমকি দিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাঁর হেলিকপ্টার থেকে নামতে দেননি, সিএএ/এনআরসি বন্ধ করে দিয়েছেন,বিজেপি কর্মীদের হত্যা করেছেন, খোলাখুলি গুন্ডামি করেছেন, এবং মোদীকে সতর্কবাণী দিয়ে বলেছেন আসুন, খেলা হবে। তিনি প্রকাশ্যে শরণার্থী জড়ো করে তাঁদের আরও ভোটার কার্ড দিয়েছেন…।” এখানেই থামেননি কঙ্গণা, এরপরও বেঙ্গলবার্ণিং হ্যাশট্যাগ দিয়ে আরো কয়েকটি ট্যুইট করেন তিনি। যার পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁর অ্যাকাউন্ট।
ট্যুইটার বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, “টুইটার ছাড়াও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে যেখানে আমি যা বলতে চাইছি তা বলতে পারব। যদি সেটাও সম্ভব না হয় তাহলে আমার নিজের কৃষ্টি, আমার সিনেমার মধ্যে দিয়ে তা আমি বলব।”
আজ ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন কঙ্গনা। সেখানে রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়ে তাঁকে বলতে দেখা যায় বাংলা থেকে খারাপ খবর আসছে। মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গণধর্ষণ হচ্ছে, খুন হচ্ছে। কেউ কিছু বলছে না। আমি বুঝতে পারছি না হিন্দু রক্ত কি এতটাই সস্তা। কীসের ষড়যন্ত্র?” কেন্দ্র সরকার এবং বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন “আপনারা বাংলায় হওয়া ঘটনার নিন্দা করতে চাইছেন, ধর্না করতে চাইছেন কিন্তু দেশদ্রোহীদের এতটা ভয় পেয়ে গেলেন আপনারা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার কথা ভাবছেন না?কেন এত ভয় পাচ্ছেন আপনারা? কীসের এত ভয়? আমি ভীষণই হতাশ” ফেসবুকে পোস্ট হওয়ার পরই মুহুর্তে ভাইরাল হয় ভিডিওটি। যার ফলে নেটিজেনদের চরম নিন্দা ও সমালোচনার মুখে পড়েন কঙ্গনা।