আজ রানাঘাটে প্রশাসনিক বৈঠকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কয়েকটি জোরাল ঘোষণাও করেন তিনি। পাশাপাশি বিরোধীদের কটাক্ষ আক্রমণও করেছেন। রানাঘাটের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি এদিন যথেষ্ট সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন,‘বিহার থেকে এক হাজার টাকায় অস্ত্র চলে আসছে’। রানাঘাটের নাকা চেকিং বাড়ানো এবং আশপাশ থেকে অবিলম্বে অস্ত্রসস্ত্র-এর অবাধ আমদানি বন্ধ করার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। উত্তরবঙ্গকে ছিন্নভিন্ন করার জন্য সীমান্তের ওপার থেকে যে সব অস্ত্র আসছে সে ব্যাপারেও কড়া নজরদারি করার কথা তিনি বলেন।
এদিন পি ডব্লিউ ডি-র কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, সরকারি বা বেসরকারি যে কাউকেই সার্কিট হাউসের কাজ নিজেদের টাকায় করতে হবে। সরকার এর জন্য আর কোনও টাকা দেবে না। বিডিও-দের কেও তিনি নানান জায়গা ঘুরে দেখার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘মাঝে মাঝে রিক্সা কিংবা বাইকে করে এলাকা ঘুরে দেখুন। সাধারন মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। আপনাদের ভালো লাগবে। আইসিডিএ্রস, আশাকর্মীদের কাজ কেমণ হচ্ছে এবং ভোটার তালিকা ঠিকমত হচ্ছে কিনা সেটাও দেখুন।‘
এদিন মমতার পাশাপাশি কুণাল ঘোষও কাঁথিতে আয়োজিত একটি জনসভায় শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে বলেন, এক টানে তে যেমন তেমন দু টানেতে রুগী, সারা জীবন চুরি করে শুভেন্দু নাকি যোগী। তাই তার মুখে এত বড় বড় কথা মানায় না। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গ্রামে ঢুকছে এবং তাঁর গাড়ি করেই টাকাপয়সা আর অস্ত্রসস্ত্র নন্দীগ্রামে ঢুকছে। তাই অবিলম্বে তাঁর গাড়ি ও নিরাপত্তাবাহিনীতে কড়া চেকিং চালানোর অনুরোধ করছি প্রশাসনকে।’
রানাঘাটের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুয়ারে সরকার প্রোগ্রামে ডেঙ্গি নিয়ে সতর্ক ও সচেতন হন। যেখানেই নোংরা দেখবেন পরিষ্কার করুন, আমাদের নিজেদেরকেই লড়তে হবে আবর্জনার বিরুদ্ধে।‘ এ দিন বিদ্যুতের বিল নিয়েও তিনি বেশ কিছু বার্তা দেন সাধারন মানুষকে। তিনি বলেন, ‘বহু বছর ধরে অনেকে বিদ্যুতের বিল দেয়নি। এখনও বিল বাকি তাদের। তাই তাদের বিদ্যুতের সাপ্লাই দেব কী করে? বকেয়ার ৫০ শতাংশ জমা দিলে তারা আবার বিদুৎ সংযোগ পাবেন। এতে সরকারের লোকসান হলেও সাধারন মানুষের সুবিধা হবে।