অবিলম্বে AIIMS বা দিল্লির কোনো বড় হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হবে সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানের। আজ বুধবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মথুরা জেলের মধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বন্দী সাংবাদিক। তাঁর চিকিৎসা ঠিক মত করা হচ্ছেনা এমন অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁর স্ত্রী রিহান্ত। আর এরপরেই সমস্ত দিক বিবেচনা করে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে এমন নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
জেলের শৌচাগারে পড়ে গিয়ে কিছুদিন আগে আহত হন সিদ্দিক। এর পরে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে ভুগতে থাকা সিদ্দিক জেলের মধ্যেই আক্রান্ত হন করোনায়। এই অবস্থাতেও হাসপাতালের বেডের সাথে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হচ্ছে তাঁকে এমনই অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী। উত্তরপ্রদেশে হাথরাশ ধর্ষণকান্ড নিয়ে খবর করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সিদ্দিক কাপ্পানকে।
স্বামীকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হচ্ছে, বাথরুমেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না, এমনই অভিযোগ আনেন তাঁর স্ত্রী। এই অভিযোগ নিয়েই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন রিহান্ত। আদালতে একই আবেদন করে কেরালা ইউনিয়ন ফর ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট। সেই মামলারই শুনানি ছিল বুধবার। সেই শুনানিতেই উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনকে এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতির এন ভি রামানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে উঠলে কাপ্পানকে ফের মথুরা জেলে পাঠান হবে।
এর আগে উত্তরপ্রদেশ সরকার শুনানিতে জানিয়েছিল , উত্তরপ্রদেশ থেকে অসুস্থ কাপ্পানকে সরানো যাবে না কিছুতেই। যদি অন্য বন্দিদের ওই রাজ্যেই চিকিৎসা করা যায় তাহলে কাপ্পানের ক্ষেত্রেও সেটাই হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। আগেই এই ইস্যুতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের হস্তক্ষেপ দাবি করেছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। যদিও এখনও কোনো রকমই প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি যোগী আদিত্যনাথের কাছ থেকে।