বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার শহর কলকাতা। সকাল থেকেই মিছিল আটকাতে প্রস্তুত ছিল পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় মিছিল আটকায় পুলিশ। হেস্টিংসে রীতিমত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পুলিশও পাল্টা কর্মীদের হঠাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। জলকামানও ব্যবহার করে পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ জলকামানে রাসায়নিক রং ব্যবহার করেছে। যদিও বিকেলে ভবানী ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যসচিবের সাফাই জলকামানে কোনও রাসায়নিক রং নয় হোলির রং ব্যবহার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে পুলিশেরও প্রশংসা করে তিনি বলেন প্ররোচনা সত্ত্বেও সংযম দেখিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে, পুলিশকে লক্ষ্য করে বিজেপি কর্মীরা ইট ও বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা পুলিশের লাঠির আঘাতে বহু কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন বলে দাবি বিজেপির। এদিন সাঁতরাগাছিতে রক্তবমি শুরু করেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হাওড়া ব্রিজ, হাওড়া ময়দান, বড়বাজার সহ একাধিক জায়গায় মিছিল আটকায় পুলিশ। সেইসঙ্গে লাঠিচার্জও করে বলে অভিযোগ। শহরের পাশাপাশি জেলাতেও মিছিল আটকায় পুলিশ। বাংলায় সিন্ডিকেট রাজ চলছে বলে সাংবাদিক বৈঠকে তোপ দাগেন বিজেপির সর্বভারতীয় যুব সভাপতি তেজস্বী সূর্য। পাশাপাশি এদিন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও অভিযোগ করেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধের চেষ্টা করছে সরকার।
