আরও ৭ দিন বাড়ল বালুর হেফাজতের মেয়াদ। ১৩ নভেম্বর অবধি ইডির হেফাজতেই থাকছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এমনই নির্দেশ দিল আদালত। আদালতের বাইরে রীতিমত নায়কের ভঙ্গিতে হাত নেড়ে বালু জানান, আর ৭ দিন পরেই তিনি ফিরছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মুক্ত, আমি নির্দোষ। ১১ দিনে ইডি বুঝতে পেরেছে আমি নির্দোষ। ইডি বুঝতে পেরেছে আমি দোষী নই।’ আশ্চর্যের বিষয়, নিজের জামিনের জন্য আবেদনই করেননি তিনি। অন্যদিকে ইডি তরফের আইনজীবী বালুর ৭ দিনের হেফাজতের দাবি জানান আদালতকে। বালুর আইনজীবীর বক্তব্য, “আমরা মনে করছি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তদন্ত দ্রুততার সঙ্গে শেষ হোক।” এদিকে আদালত তাঁর শারীরিক অসুবিধের জন্য কমান্ড হাসপাতালে মেডিকাল বোর্ড গঠন করার নির্দেশ দিলে তাঁর আইনজীবী অভিযোগ করেন, এখনও বোর্ড গঠন হয়নি। তখনই পালটা ইডি পক্ষের আইনজীবী জানান, তাঁকে আরও জেরার প্রয়োজন রয়েছে।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/11/12-36-4-390x220-1.jpg)
অন্যদিকে বিহার যোগের হদিশ মিলেছে বাংলার রেশন দুর্নীতিতে। বিহারের পশুখাদ্য দুর্নীতি মামলার দুই অভিযুক্তের নাম পাওয়া গেছে এ’রাজ্যের রেশন দুর্নীতি মামলাতেও। এমনটাই দাবি ইডির। ‘অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ইডি জানতে পারে- এই সংস্থার দুই ডিরেক্টর দীপেশ চন্দক ও হিতেশ চন্দক খদ্য দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। আর এই দুজনের নামুই ১৯৯৬ সালে বিহারের পশুখাদ্য দুর্নীতি মামলাতেও জড়িয়েছিল। উল্লেখ্য, পশুখাদ্য মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। আর রেশন দুর্নীতি মামলায় এই মুহূর্তে ইডির হেফাজতে বালু। তবে তদন্ত কোনদিকে যায় সেই নিয়ে এখনও কিছু বলা যাচ্ছেনা।