যাদবপুরে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় অব্যাহত ধরপাকড়। সৌরভ-দীপশেখর-মনোতোষের পর পুলিশের জালে আরও ৬। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর পাকড়াও করা হয়েছে এদেরকে। নজরে আরও অনেকে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন মহম্মদ আরিফ (১৮) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, মহম্মদ আশিফ আফজল আনসারি (২২) ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া। গ্রেফতার করা হয়েছে অঙ্কন সরকার (২০) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রকে। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে অসিত সর্দার নামে একজন প্রাক্তন পড়ুয়াকে।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/08/IMG-20230813-WA0003.jpg)
তদন্ত চলাকালীন পুলিশ গোটা বিষয়টি জানার জন্য বিভিন্ন পড়ুয়ার বয়ান রেকর্ড আগেই করেছিল। সূত্রের খবর, সেই সকল বয়ানের সঙ্গে ধৃত চারজনের বয়ানের অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এদের মধ্যে মহম্মদ আরিফ দাবি করেছিলেন, ঘটনার দিন প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়াকে তিনি বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর হাত ছাড়িয়েই সে ঝাঁপ মারে হস্টেল থেকে। ধৃত আরিফ কাশ্মীরের বাসিন্দা। তাঁর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। শুধু আরিফ নয়, বাকিদের বয়ানেও মিলেছে অসঙ্গতি।
শুধু তাই নয়, ওই দিনের ঘটনার পর কেন হঠাৎ করে জিবি মিটিং ডাকা হল? পুলিশের ঢোকা আটকাতে গেট আটকানো হল, এই সব বক্তব্যের মধ্যেই অনেক ফাঁক রয়ে গিয়েছে। গ্রেফতারি সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে, তলব করা হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অব স্টুডেন্টস ও রেজিস্ট্রারকে। এখনও অনেকগুলো বিষয়ে কোনও উত্তর নেই পুলিশের কাছে। কেন হস্টেলে সিসিটিভি ছিল না? কর্তৃপক্ষ কি কোনওদিন সিসিটিভি লাগাতে চেয়েছিল? কারা বাধা দিয়েছিল? প্রাক্তন ছাত্ররা কীভাবে হস্টেলে থাকার অনুমতি পেল? এই বিষয়গুলো জানতে চায় পুলিশ। পাশাপাশি, বুধবার বিকেল ৫টাতেই রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসছেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু এবং ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়।