ভোট দিতে পারলেন না বিজেপি প্রার্থী পার্ণো মিত্র। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ক্ষোদ ভোটদান কেন্দ্রে পৌঁছতে পারলেন না বরানগরের বিজেপির প্রার্থী। করোণায় আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী পার্নো মিত্র, তাই ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবেন না তিনি। সপ্তম দফার নির্বাচনে ভোট দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। তবে ভোট দিতে না পেরে এই খবরটি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই জানালেন তিনি।
দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আরও একটি বড় কারণ হচ্ছে বেশ কয়েকটি রাজ্যের নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের দিকে ইতিমধ্যেই আঙুল তুলেছেন বেশ কয়েকজন ডাক্তার এবং মাদ্রাজ হাইকোর্ট। রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার উপলক্ষে প্রায় প্রতিদিনের জনসভা এবং রোড শোতে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় করেছিলেন। তাঁদের বেশিরভাগেরই মুখে ছিল না মাস্ক এবং মানা হয়নি কোভিড বিধি যে কারণে আজ প্রতিটি দলই কোন না কোন প্রার্থী আক্রান্ত হয়েছেন এই মারন ভাইরাসে।
পার্নো মিত্র সোমবার নিজেই সকালে টুইট করে জানান, “আমি কোভিড পজিটিভ। গত ৭ দিন যাঁরা আমার সঙ্গে ছিলেন তাঁদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ, দয়া করে আপনারাও কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নেবেন।” পাশাপাশি সেই সমস্ত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে আরও একবার বলেন ,বাকি সকলের সাবধানতার উদ্দেশ্যে তাঁরা যেন নিভৃত বাসায় চলে যান বেশ কয়েক দিনের জন্য। শুধু তাই নয় সকলকে আরও একবার মাস্ক পরা এবং কোভিড ব্যাধির মান্যতা রাখার বিষয়টি মনে করিয়ে দেন।
বরানগরে প্রার্থী হিসেবে বিজেপির তরফ থেকে দাঁড়িয়েছেন পার্ণো মিত্র। বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁকে ঘিরে বিভিন্ন খবর শিরোনামে ভাসতে দেখা গিয়েছিল। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো বর্তমানে নিভৃতবাসে রয়েছেন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এই সমস্ত জনসভাতে অংশগ্রহণ করার জন্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এই বিজেপি প্রার্থী। জানা যায় কিছুদিন আগে বাবুল সুপ্রিয়ের সভাতে মানা হয়নি কোভিড প্রটোকল । নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে করোনার এইবার বাড়বাড়ন্তকে মাথায় রেখেই জানানো হয়েছিল আগামী জনসভাতে ৫০০ জনের বেশি মানুষকে একত্রিত করা যাবেনা।কিন্তু সে কথা থোড়াই কেয়ার করে জনসভা করার কারণেই আজ একের পর এক নেতা করোনার কবলে পড়েছেন।