পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগের দিন হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন না শুভেন্দু অধিকারী৷ বিরোধী দলনেতার আবেদন খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, পঞ্চায়েত ভোটের দিন নিজের বিধানসভা এলাকা নন্দীগ্রামেই থাকতে হবে শুভেন্দু অধিকারীকে৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা৷ রাজ্যের রাজনৈতিক নেতাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু নির্দেশ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন৷
সেই মতো গতকাল শুভেন্দু অধিকারীকে নোটিস জারি করা হয় কাঁথি থানার পক্ষ থেকে৷ সেই নির্দেশে বলা হয়, শুভেন্দু যে এলাকার ভোটার, অর্থাৎ সেই নন্দীগ্রাম ছেড়ে ভোটের দিন বেরোতে পারবেন না তিনি৷
এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা৷ আদালতে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, বিরোধী দলনেতা হিসেবে তাঁকে দলের নেতা কর্মীদের নির্দেশ দিতে হয়৷ এই যুুক্তি খণ্ডন করে অবশ্য বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়ে দেন, নির্দেশ ফোনেও দিতে পারবেন বিরোধী দলনেতা৷
অন্যদিকে, শুভেন্দুর কড়া হুঁশিয়ারি, ‘বহিরাগত কেউ গোলমাল পাকাতে ঢুকলে, তারা আর বাড়িতে ফিরবেন না। এটুকু বলতে পারি।’ এরপরই নন্দীগ্রামের বিধায়কের সংযোজন, ‘বহিরাগতরা জেলে যাবে, নাকি অন্য কোথাও যাবে, সেটা পরে বলব। আমার দম আছে। আমার এলাকা, আমি বুঝিয়ে দেব।’ বিধায়কের বক্তব্য, ‘আমরা প্রস্তুত আছি। সাধারণ মানষ প্রস্তুত আছে। পুলিশের ভরসায় ভোট হয় না, হবেও না।’
শুভেন্দুর এই হুঁশিয়ারির পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। বলেছেন, ‘ওঁর এলাকাতেই তো মানুষ কাল বিক্ষোভ করেছে, বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে। এসব তো ওঁর এলাকাতেই হয়েছে। ওঁর পায়ের তলায় মাটি নেই। নন্দীগ্রামে যদি বাইরের কোনও গুন্ডা এনে ঢোকায়, তাহলে আসবে বাইকে, ফিরবে স্ট্রেচারে। কোন শুভেন্দু বাঁচান, দেখব।’