করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সিগন্যালিং সমস্যার জন্যই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, সিগন্যালিং সিস্টেমে গণ্ডগোল কি নিছক যান্ত্রিক ত্রুটি? এমন প্রশ্নও উঠছে। তবে রেলের তরফে অন্তর্ঘাতের তত্ত্বে জোর দেওয়া হচ্ছে। সোমবার দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে রেলের তদন্তকারী আধিকারিকেরা জানান, দুর্ঘটনার সময় করমণ্ডল এক্সপ্রেস আপ মেইন লাইনে যাওয়ার জন্য সিগন্যাল সবুজ ছিল। অন্তত রেলের তথ্যে এমনটাই জানা যাচ্ছে। কিন্তু, তারপরই সিগন্যাল অফ করে দেওয়া হয়। ফলে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লুপ লাইনে চলে যায় এবং মালগাড়িতে ধাক্কা মারে। সিগন্যালিংয়ের এই গণ্ডগোলের পিছনে অন্তর্ঘাত রয়েছে বলেই তাঁদের দাবি।
দ্রুতগতিতে মেইন লাইন দিয়ে আসা ট্রেনটি হঠাৎ করেই লুপ লাইনে চলে গিয়ে ধাক্কা মারল মালগাড়িতে। তারপর খেলনা গাড়ির মতো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল বগিগুলি। ভয়াবহ করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার এই ছবি এখনও আতঙ্ক ধরাচ্ছে। এবার এই দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিছক যান্ত্রিক গোলযোগ নয়, অন্তর্ঘাত করা হয়েছে। এমনই দাবি রেলের। সোমবার বাহানাগায় দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখার পর রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, সিগন্যালিং ব্যবস্থা নষ্ট না করলে সিগন্যাল সবুজ হয় না। সিগন্যালিংয়ে অন্তর্ঘাতের পাশাপাশি ইন্টারলক সিস্টেমে গোলমালের কথাও বলছেন রেলের তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/06/IMG-20230607-WA0009-1024x576.jpg)
বাহানাগায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রেলের DRM বলেন, ‘এই সিগন্যালিং ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল বলেই গতকাল থেকে রিলে রুম বন্ধ করে রেখেছে। কারণ কোনও ত্রুটি হয়েছে কিনা তা একমাত্র ওই রিলে রুমে থাকা হার্ডওয়্যারের মাধ্যমেই জানা যাবে। ওই ঘরে সিগনালিং এবং টেলি কমিউনিকেশনের সব কাজ হয়। তাই অন্তর্ঘাত তো কিছু না কিছু ভাবে হয়েছেই।’ সিগন্যালিংয়ের যান্ত্রিক ত্রুটির তত্ত্ব খারিজ করে দিয়ে DRM-এর পাল্টা প্রশ্ন, এই সিগন্যালিং ব্যবস্থা কিছুদিন আগেই মেরামত করা হয়েছে। সেখানে এই ধরনের বিপর্যয় ঘটে কীভাবে?
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/06/IMG-20230602-WA0004.jpg)