টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানের কাছে পর্যদুস্ত হওয়ার পর থেকেই সেই ম্যাচ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এবার সেই বিতর্কেই লাগলো রাজনৈতিক রঙের প্রলেপ। ক্রিকেট তারকাদের পরে এ বার মহম্মদ শামির সমর্থনে মুখ খুললেন রাজনীতির দুনিয়ার রথী-মহারথীরাও। কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী থেকে শুরু করে অল ইন্ডিয়া ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি প্রত্যেকেই শামিকে হেনস্থার প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন। এরকম সাম্প্রদায়িক ঘটনায় বিজেপি সরকার চুপ কেন, উঠেছে সেই প্রশ্নও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ভারতীয় দলের হারের পর থেকেই নেটমাধ্যমে চূড়ান্ত হেনস্থার শিকার হন শামি। ওই ম্যাচে ৩.৫ ওভারে ৪৩ রান দিয়েছিলেন ভারতের জোরে বোলার। ম্যাচে কার্যত দলের বাকি বোলাররাও বিশেষ ভাল করে উঠতে পারেননি। কিন্তু সেদিন ম্যাচ হারার পর থেকেই নেটনাগরিকদের বেশির ভাগের আক্রমণের নিশানায় ছিলেন শামি। তাঁকে তাঁর ধর্ম তুলে আক্রমণ করা হয়। এবার তারই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন রাহুলরা।
এদিন টুইটারে রাহুল লেখেন, ‘শামি, আমরা তোমার পাশে আছি। ওদের কেউ ভালবাসে না বলে ওদের মন ঘৃণায় ভরে গিয়েছে। ওদের ক্ষমা করে দাও।’ পাশাপাশি, ওয়াইসিও টুইট করে বলেন, ‘খেলায় হার-জিত থাকে। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে হারার পরে যে ভাবে শামিকে নিশানা করা হচ্ছে, তা সংখ্যালঘুদের প্রতি ঘৃণা থেকেই হচ্ছে। দলে ১১ জন ক্রিকেটার থাকে। হারের দায় এক জনের হতে পারে না। বিজেপি সরকার কি এই ঘটনার নিন্দা করবে?’ শামির এই হেনস্থায় চুপ থাকেননি ক্রিকেট মহলও। মুখ খুলেছেন সচিন তেন্ডুলকর থেকে শুরু করে বীরেন্দ্র সহবাগ, হরভজন সিংহ, ইরফান পাঠানরাও। এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করে শামির পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা ভারতীয় ক্রিকেট দল।