‘আমি ভাগ্যবান, এখন সাংসদ নই। সংসদে যা চলছে তা মোটেই কাঙ্খিত নয়। এ’দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, সোমবার সংসদের দু’কক্ষ থেকে বিরোধী দলের ৭৮ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তৃণমূলের ৯জন সাংসদ রয়েছেন। সোমবার লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে ৭৮জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আর আগে আরও ১৪জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৯২জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আর এই ঘটনা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এখন দিল্লিতে রয়েছেন তিনি। এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতা কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘আমি ভাগ্যবান যে, আমি এখন আর সাংসদ নই। সংসদে যা চলছে তা কাঙ্খিত নয়।’ এতো দেখছি পুরো পার্লামেন্ট সাসপেন্ড হওয়ার মতো অবস্থা! স্বৈরতন্ত্র চলছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শুধু তাই নয়, এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদেরও সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন—কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার, শতাব্দী রায়, অসিত মাল, প্রতিমা মণ্ডল এবং সুনীল মণ্ডল। একইসঙ্গে কমপক্ষে ৩৩ জন সাংসদের সাসপেনশন নিয়ে ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লোকসভায় ৭টি মেয়াদ সাংসদ হিসাবে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০৪ সালে লোকসভা ভোটের পর সংসদের নিম্নকক্ষে তৃণমূলের একমাত্র সাংসদ ছিলেন তিনি। তাই লোকসভার বিষয় নিয়ে তাঁর সম্যক ধারণা রয়েছে।