পাকিস্তানের পেশোয়ার থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে দারুল উলুম হাক্কানিয়া মাদ্রাসা৷ মাদ্রাসা থেকে পড়া বেশ কয়েকজন ছাত্র পরবর্তীতে তালিবান নেতা হয়েছেন, এখান থেকে পড়ুয়াদের অনেকেই সরাসরি অংশ নিয়েছেন রাশিয়া-আফগান যুদ্ধে৷ অনেকে জিহাদি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে ‘জিহাদ বিশ্ববিদ্যালয়’ নামেই ডাকে। মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে প্রায় চার হাজার ছাত্র পড়াশোনা করে৷ মাদ্রাসা থেকেই শিক্ষার্থীদের থাকা-খাওয়া ও পোশাকের খরচ দেওয়া হয়৷
প্রতিষ্ঠানটির সাবেক নেতা সামি-উল-হক তালিবানগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের। মাদ্রাসাটিতে সরাসরি সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া না হলেও এখানকার ছাত্ররা চাইলে ছুটির সময়ে জিহাদে অংশগ্রহণের জন্য যেতে পারে বলে জানা গেছে৷ তবে জঙ্গিগোষ্ঠীতে অংশগ্রহণে লজ্জিত নয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ, বরং গর্বিত তারা। মাদ্রাসার একজন প্রভাবশালী শিক্ষক মাওলানা ইউসাফ শাহ জানান, ‘‘আমরা গর্বিত৷ আফগান যুদ্ধে এই মাদ্রাসার ছাত্ররা রাশিয়াকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিয়েছে৷ অামেরিকাকেও ফেরত পাঠানো হয়েছে।” জিহাদি তৈরি করে এমন কুখ্যাতি থাকার পরও মাদ্রাসাটি পাকিস্তান সরকার কিংবা দেশটির অনেক রাজনৈতিক দলের সমর্থন রয়েছে বলে অভিযোগ৷ শুধু তাই নয় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-এ-ইনসাফও রাজনৈতিক সমর্থনে পেতে মাদ্রাসাটিকে অর্থ দিয়েছে বলে অভিযোগ।
তবে মাদ্রাসাটির এমন কর্মকাণ্ডে তীব্র আপত্তি রয়েছে আফগান সরকারের৷ আফগান সরকারের মুখপাত্র মাদ্রাসাটি বন্ধের দাবি তুলেছেন। অন্যদিকে, নিজেদের বিরুদ্ধে সহিংস কর্মকাণ্ড উস্কে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ৷ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা এ প্রতিষ্ঠানে সরাসরি কোন মিলিটারি প্রশিক্ষণ পায় না কিংবা জিহাদে যেতে বাধ্যও নয়৷ তবে জিহাদ বিষয়ে এখানে খোলাখোলি আলোচনা চলে বলেই জানান পড়ুয়ারা ৷