একদিকে যেখানে সংক্রমনের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে নাম লিখিয়েছে ভারত। সেখানেই ইজরায়েল প্রশাসন তাঁদের দেশকে করোনামুক্ত ঘোষণা করল। তথ্য অনুসারে জানা যাচ্ছে ইজরায়েলে ১৬ বছরের বেশি বয়স হলেই টিকা দেওয়া হচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮১ শতাংশ ইজরায়েল বাসীরই কোভিড টিকার দুটি ডোজই নেওয়া হয়ে গিয়েছে। ওদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল হেজি লেভি জানিয়েছেন। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বেশ কিছুটা নিশ্চিন্ত হয়েছেন ইসরাইলের মানুষ ।এমনকি তিনি ঘোষণা করেছেন, “১৮ এপ্রিল থেকে ওই দেশে বাইরে মাস্ক না পরে বার হলেও কোনও সমস্যা নেই।” যদিও এখনও চূড়ান্ত সতর্কতা বজায় রাখা হচ্ছে। কারণ, বাকি পৃথিবী এখনও করোনা কবলিত । বর্তমানে করোনা কবলিত দেশ গুলির মধ্যে ভারত অন্যতম । শুধু তাই নয় পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে সংক্রমণের মাত্র ঊর্ধ্বগামী। আসলে ২০২০-র ১৯ ডিসেম্বর ইজরায়েলে ফাইজারের ভ্যাকসিন পৌঁছনোর দু’সপ্তাহের মধ্যেই ওই দেশে ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়। শুধু সরকারি উদ্যোগেই নয় পাশাপাশি সাধারণ মানুষের দ্রুত তৎপরতায় এই সফলতা পেয়েছে ইজরাইলি সরকার।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/04/WhatsApp-Image-2021-04-25-at-21.34.53.jpeg)
জানা যায় শুরুর দিকে সর্বোচ্চ সংক্রমিত দেশের তালিকায় প্রথম নাম লিখিয়েছিল ইজরায়েল। ইজরায়েলের মোট জনসংখ্যার ৮১ শতাংশেরও বেশি বাসিন্দার টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। গত বছর ডিসেম্বরে সর্বপ্রথম টিকাকরণ শুরু করেছিল ব্রিটেন। তার পরে টিকাকরণে ছাড়পত্র দেয় আমেরিকা। এর পরেই টিকাকরণ চালু করেছিল ইজরায়েল। কিন্তু অন্য দুই দেশ টিকাকরণে গতি হারালেও ইজরায়েল শুরু থেকেই এ বিষয়ে দারুণ কাজ করেছে। ইসরাইল সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে টিকা করনের বিষয়ে কোনো গাফিলতি ছিল না কোনোভাবে সাধারণ মানুষও যথেষ্ট সাহসিকতার সাথে টিকা গ্রহণ করেছেন ফলে আজ করোনা মুক্ত ইজরাইল গঠন করা সম্ভব হয়েছে।